কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ
মহাসড়কে থ্রী হুইলার চলাচল বন্ধ করা না হলে আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর দুইদিনের জন্য কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ থেকে আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার সব ধরণের বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধের ঘোষনা দিয়েছেন জেলা বাস মালিক গ্রুপ।
বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশের দিন বাস চলাচল বন্ধের ঘোষনাকে সমাবেশ বানচাল করার ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপি’র নেতারা। তবে বিএনপি’র সমাবেশের কথা জানেন না বলে জানিয়েছেন বাস মালিক নেতারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাক কিশোর কুমার দে জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে মহাসড়কে থ্রী হুইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও অবৈধভাবে এসব যানবাহন মহাসড়কে চলাচল করছে। পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় থ্রী হুইলারের কারণে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে।
তাই যাত্রীদের নির্বিগ্নে ও নিরাপদ যাতায়াতের লক্ষে আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে মহাসড়কে থ্রী হুইলার চলাচল বন্ধ করা না হলে ৪ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার সকল ধরণের বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও জানান, বিএনপি কি সমাবেশ করছে বা কবে করবে সেটা আমরা কিছুই জানিনা। থ্রী হুইলার বন্ধের দাবী ও বাস ধর্মঘটের বিষয়টি নিয়ে আরও সাত দিন আগে থেকে আমরা সভা করছি। আমাদের সিদ্ধান্তের সাথে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই। থ্রী হুইলার ও রুট পারমিট বিহীন দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের জন্য জেলা বাস মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন বলেন, বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কিভাবে বানচাল করা যায় সব দিক থেকে সেই চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। বিএনপির সমাবেশে যাতে কেউ আসতে না পারে সেই দিকে নজর রেখেই ৪ ও ৫ নভেম্বর বাস বন্ধের ঘোষনা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনকালীণ তত্বাবধায়ক সরকার ও বিভিন্ন দাবীতে বিএনপি দেশের প্রতিটা বিভাগীয় শহরে যে সমাবেশের ডাক দিয়েছে, তাতে বরিশাল বিভাগীয় কর্মসূচি হবে আগামী ৫ নভেম্বর।
টিএস