গ্রেফতার
জামালপুরে মা ও মেয়ে হত্যাকান্ডের মূলহোতা চাকরির প্রলোভনদাতা আসামি মেহেদী হাসান নিপুলকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
রবিবার সকালে জামালপুর সদর উপজেলার বাঁশচড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার নিপুল বাঁশচড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। এর আগে এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আলম হোসেন ইমরানসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের নান্দিনা বাদামবাড়ি গ্রামের মোস্তফা কামালের মেয়ে কাজলী আক্তার ও স্ত্রী জোছনা বেগম গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের মেহেদী হাসান নিপুল নামের এক ব্যক্তি কাজলীকে বাঁশচড়া জামিরা উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরি নিয়ে দেয়ার কথা বলে তাকে মোবাইলে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন।
নিপুলের সাথে পাঁচ লাখ টাকা রফাদফা হলে চার লাখ টাকা দেওয়া হয়। বাকি এক লাখ টাকা নিয়ে সেদিন দেখা করতেই মা মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর রাতে মা মেয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর সকালে রানাগাছা এলাকার বাঁশঝাড় থেকে মেয়ে কাজলী আক্তারের লাশ উদ্ধার হয়। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর বাঁশচড়ার একটি বিল থেকে মা জোছনা বেগমের লাশ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় জোছনা বেগেমের স্বামী মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির দুজন আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ জনকণ্ঠকে বলেন, মা-মেয়ে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি গ্রেফতার মেহেদী হাসান নিপুলকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে।
মামলাটির ছয়জন আসামির মধ্যে নিপুলসহ এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটির আরো দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এমএস