ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাপা নেতাকে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন, আসামি গ্রেপ্তার

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর

প্রকাশিত: ১৯:০৬, ১২ অক্টোবর ২০২২

জাপা নেতাকে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন, আসামি গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার আসামি

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর জাতীয় পার্টির নেতা শফিকুল ইমলামের ওপর মূল হামলাকারী ইয়াসিনকে রাজদানীর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃত মূল হামলাকারী ইয়াসিন উপজেলার তুষাখালী গ্রামের মো. হাফেজ খানের ছেলে। আহত শফিকুল ইসলাম একই গ্রামের আইয়ূব আলী শিকদারের ছেলে ও তুষখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক। 

পিরোজপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বুধবার দুপুরে মঠবাড়িয়া থানা চত্ত্বরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাকিদের জানান, মঠবাড়িয়া পৌর শহরের বহেরাতলা এলাকার জলীল জমাদ্দারের বাড়ির পাশের খাল থেকে হামলায় ব্যবহৃত দুটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

শফিকুলকে হত্যার পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইয়াসিনসহ তার ৫ সহযোগীদের নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা ঝাউতলার একটি বাসায় একত্রিত হয়। 

হত্যার পরিকল্পণাকারী তুষখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারের ভাই তুষখালী বাজারের মুদি দোকানী নাসির হোসেন জাপা নেতা শফিকুল ইসলামের অবস্থান ও তথ্য ওঁৎ পেতে থাকা ইয়াসিনকে মোবাইলের মাধ্যমে অবহিত করে। স্থানীয় বাসিন্দা মুসা শরীফের সঙ্গে চলমান একটি মামলায় শফিকুল আদালতে হাজিরা দিতে সকালে মোটর সাইকেল যোগে তুষখালী থেকে মঠবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মাঝের পুলের কাছে ফরাজি বাড়ির সামনে কালভার্ট এর উপরে আসা মাত্রই একটি মহেন্দ্র গাড়ি শফিকুলের মটর সাইকেলকে ধাক্কা দেয়।

শফিকুল মোটর সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে পিছনের দিকে দৌড় দিলে হামলাকারীরা মাহেন্দ্র থেকে নেমে তাকে ধাওয়া করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাম পা বিচ্ছিন্ন করে। এ সময় এলোপাতাড়ি কোপানোর কারণে শফিকুলের পেটের ভুড়ি বেড়িয়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। হামলাকারি ইয়াসিন ও তার সহযোগিরা ৪ কিলোমিটার দূরে বহেরাতলা এলাকার খালে ধারালো অস্ত্রগুলো ফেলে দিয়ে মাহেন্দ্র যোগে পালিয়ে যায়। 

তবে চালক পলাতক থাকায় এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার কারা সম্ভব হয়নি। মূল পরিকল্পণাকারী চেয়ারম্যানের ভাই নাসির হাওলাদার ও মূল হামলাকারি ইয়াসিনের মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। 


 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×