ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জ-আদমজী শিমরাইল রুটে বাস চালুর দাবি

মোঃ খলিলুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ০১:০৮, ৭ অক্টোবর ২০২২

নারায়ণগঞ্জ-আদমজী শিমরাইল রুটে বাস চালুর দাবি

নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-শিমরাইল রুট অবৈধ অটোরিক্সা ও ইজিবাইকের দখলে

নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-শিমরাইল রুটের আট কিলোমিটার পথে এখন আর যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে না। সর্বশেষ এ রুটে শীতলক্ষ্যা পরিবহন ও দুরন্ত সার্ভিস নামে দুটি যাত্রীবাহী বাস সার্ভিস চলাচল করত। এখন এ রুটে অবৈধ অটোরিক্সা ও ইজিবাইকই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব যানের দরজা খোলা ও জানালার কাচ ভাঙ্গা থাকায় বৃষ্টির দিনে যাত্রীরা ভিজে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এ রুটের শিমরাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে আদমজী দিয়ে চাষাঢ়া অথবা মন্ডলপাড়ার সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবন পর্যন্ত বিআরটিসি’র  বাস সার্ভিস চালুর দাবি জানান।
জানা যায়, ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা সড়কটি নির্মিত হয়। এরপর থেকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ডেমরা পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস চলাচল করত। পরে শিমরাইল মোড় থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত শিমরাইল ও শনিরআখড়া হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নির্মিত হয়।

২০২০ সালের করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর লকডাউনে সব যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে যাত্রীবাহী বাস ও দুরন্ত সার্ভিস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুরন্ত সার্ভিসের মালিক লিটন সিকদার জানান, এ রুটে অবৈধ ইজিবাইক ও অটো চলাচলের কারণে শীতলক্ষ্যা ও দুরন্ত সার্ভিস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি জানান, এ রুটে ৪৯টি দূরত্ব সার্ভিস চলাচল করত। এখন ১০টি অন্য রুটে চলাচল করছে। বাকিগুলো কেউ কেউ বিক্রি করে দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, এ রুটটি ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ ২, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮, ১০ ও ১১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আবারও ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটের যাত্রীরা শিমরাইল নেমে এ রুটটি ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জ শহরে যাতায়াত করে থাকে। মিজমিজি এলাকার বাসিন্দা আবু সায়িদ জানান, দীর্ঘ দুই বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-শিমরাইল রুটে শীতলক্ষ্যা পরিবহন কিংবা দুরন্ত সার্ভিস চলাচল করছে না।

ফলে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আমরা ইজিবাইক, ব্যাটারী চালিত রিক্সা, অটোবাইক দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছি। এতে প্রায় সময় অনেকেই দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন। এ রুটে শিমরাইল থেকে নগর ভবন পর্যন্ত বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালুর দাবি জানান তিনি।
সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা আকবর হোসেন জানান, সিটি কর্পোরেশনের কোন কাজে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল থেকে মন্ডলপাড়ার নগর ভবনে যেতে ও আসতে হলে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা গুনতে হয়। অথচ এখানে যাত্রীবাহী বাসের ভাড়া হতো সর্বোচ্চ ২০-২৫ টাকা। এভাবেই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে যাতায়াত করতে হয়। অথচ এ বিষয়ে দেখার কেউ নেই।

×