ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাগর থেকে ফিরছেন জেলেরা

শেষ মুহূর্তে ইলিশ ক্রয়ে কেবি বাজারে উপচেপড়া ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট

প্রকাশিত: ০১:০০, ৭ অক্টোবর ২০২২

শেষ মুহূর্তে ইলিশ ক্রয়ে কেবি বাজারে উপচেপড়া ভিড়

বাগেরহাটে নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে কেবি বাজারে ইলিশ কিনতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়

ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে সাগর ও নদীতে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ থাকছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা ট্রলার নিয়ে উপকূলে ফিরতে শুরু করেছেন। আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে মিলিয়ে এ সময়ে ইলিশের ডিম ছাড়ার উপযুক্ত সময়।

এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নদীতে আসে। তাই প্রতিবছরের মতো এ বছরও মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য এ সময় ইলিশ ক্রয়-বিক্রয়, বিপণন ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে।
এদিকে শেষ দিনে ইলিশ কিনতে বাগেরহাটের একমাত্র সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কেবি বাজারে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা। তবে দাম চড়া হওয়ায় হতাশ ক্রেতারা। এদিকে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয় কেবি বাজারে। ফজরের নামাজ শেষে মুহূর্তের মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম হয়ে ওঠে দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম এ মৎস্য আড়ত।

অন্যান্য সময়ের থেকে খুচরা ক্রেতাদের যেমন ভিড় ছিল, তেমনি মাছের দাম ছিল অনেক বেশি। প্রতি কেজি মাছ অন্যান্য দিনের তুলনায় ১শ থেকে ৩শ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। এক কেজি থেকে ১২শ গ্রাম মাছ ১৫ থেকে ১৬শ টাকা কেজি, ৮শ থেকে ৯শ গ্রামের ১২শ টাকা, আধা কেজি থেকে ৬শ-৭শ গ্রাম ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ, আধা কেজির নিচের মাছ বিক্রি হয়েছে ৭শ থেকে ৮শ টাকা কেজিতে।
কেবি বাজার মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি শেখ আবেদ আলী বলেন, শেষ সময়ে সবাই চাচ্ছে মাছ কিনতে, তাই দাম বেশি। জেলে ও ব্যবসায়ীরাও চাচ্ছে তাদের মাছ বিক্রি করে চলে যেতে। তবে কেউ কেউ আরও বেশি দামে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছে। তবে রাতের আগেই সব বিক্রি হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ৬ অক্টোবর দিনগত রাত থেকে ২২ অক্টোবর মধ্য রাত পর্যন্ত সমুদ্র ও নদীতে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকবে। এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে আমরা প্রচার চালিয়েছি। অবরোধ কার্যকর করতে দিন-রাত সবসময় আমাদের টহল জোরদার থাকবে। এ সময়ে জেলেদের সরকারী সহায়তা দেয়া হয়।

×