ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল

বরিশালে হাসপাতালের উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০০:১৯, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

বরিশালে হাসপাতালের উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

নির্মাণকাজে পাথরের পরিবর্তে ইটের খোয়া

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর যোগসাজশে জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোটি টাকার উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে চলতি বছরের জুন মাসে হাসপাতালের আবাসিক ভবন, চলাচলের রাস্তা, পুকুরের গাইড ওয়াল, সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ বিভিন্ন সংস্কার কাজের জন্য প্রায় এক কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়।

দরপত্রে বরিশালের সোহেল মিয়া নামের এক ঠিকাদার কার্যাদেশ পেয়ে জুলাই মাস থেকে উন্নয়ন কাজ শুরু করেন। কাজের শুরু থেকেই ঠিকাদার সোহেল মিয়া ব্যাপক অনিয়ম শুরু করেন। তিনি আরও জানান, পুকুরের গাইড ওয়ালে পাথর দিয়ে স্লøাব বানানোর কথা থাকলেও পাথরের সঙ্গে ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আবাসিক চারটি ভবনের একটিতে রড ছাড়াই ছাদ ঢালাই দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, হাসপাতালের সামনের বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে পুরনো ইট দিয়েই নতুন করে ওয়াল নির্মাণ করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। এমনকি পুরানো ঢালাই পিলার সম্পূর্ণ না ভেঙ্গে ওই পিলারের অংশ ভেঙ্গে সেই পিলারের রডের সঙ্গেই ঢালাই সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্মাণ কাজে পুরাতন মরিচা ধরা রড ব্যবহার করারও অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর সহযোগিতায় ঠিকাদার সোহেল হাসপাতালের উন্নয়ন কাজে একের পর এক অনিয়ম করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন।

এমনকি নিম্নমানের কাজে বাধা প্রদান করলেও বাধা উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদার সোহেল মিয়ার ব্যবহৃত (০১৭১৭-৮৬৭১৮৬) নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কোন তথ্য না দিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। প্রকল্প তদারকির দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে একটি ভবনে রড ছাড়াই ঢালাই দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে আমি সাইট পরিদর্শন করে সকল অনিয়মগুলোর সমাধান করেছি।

তিনি আরও বলেন, পাথরের পরিবর্তে ইটের খোয়ার ঢালাই দেয়া হলে তা ভেঙ্গে দেখে ওই কাজের বিল আটকে দেয়া হবে। উল্লেখ্য, আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুকুরে পাইলিং বাবদ ৩৩ লাখ টাকা, রাস্তা সংস্কার বাবদ ১৬ লাখ টাকা, আবাসিক ভবনের ছাদ সংস্কার বাবদ ২৬ লাখ টাকা এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণ বাবদ ১৬ লাখ টাকাসহ প্রায় কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

×