ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভাঙ্গনে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ২১:৫৮, ৩১ আগস্ট ২০২২

ভাঙ্গনে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

উলিপুরের বজরা এলাকায় রাক্ষুসী রূপ নিয়েছে তিন্তা নদী

ভয়াবহ ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষগত তিনদিনে তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের তিন গ্রামের মানুষ হারিয়েছে প্রায় আড়াই শতাধিক বাড়িঘরবিলীন হয়ে গেছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, দুটি মসজিদ, একটি মন্দির, ঈদগাহ মাঠ, বজরা পশ্চিমপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, পুরাতন বজরা বাজার ও একটি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ভাঙ্গনকবলিতরা আশ্রয় নিয়েছে খোলা আকাশেউপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা পাশে দাঁড়ায়নি বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা

গত এক মাস যাবত ভাঙ্গন শুরু হয়েছিল উলিপুরের বজরা ইউনিয়নের পশ্চিম কালপানি বজরা, কালপানি বজরা ও সাতালস্কর গ্রামেউত্তরে জজমিয়ার বাড়ি থেকে দক্ষিণে রোস্তম মৌলভীর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুকিলোমিটার এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছেএর মধ্যে গত তিনদিনে হঠা করে ভাঙ্গনের তীব্রতার ফলে প্রায় আড়াই শতাধিক বাড়িঘর, ৫শবিঘা ফসলি জমিন, গাছপালা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহ মাঠসহ মানুষের শেষ সম্বলটুকুও নদী গ্রাস করেছে

কালপানি বজরা গ্রামের ছেলে মোজাম্মেল হক (৬৫) জানান, তিনদিন থেকে খোলা মাঠে পলিথিন টাঙ্গিয়ে পরে আছিগরিব মানুষ জায়গা নাই কেথায় যাইআজকে বজরা বাজারের বাসিন্দা তার জেঠতো ভাই টিটু মিয়া বাড়ির আঙ্গিনায় ঘর তোলার অনুমতি দিয়েছেএমন পরিস্থিতিতে অভিযোগ সরকারীভাবে সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি কেউইচেয়ারম্যান-মেম্বাররা শুধু দেখে গেছেন

তাদের নাকি কিছুই করার নেইঅপরদিকে ভয়াবহ এই ভাঙ্গনের খবর পেয়েও উপজেলা প্রশাসন থেকে কোন খোঁজখবর নেয়া হয়নিদুর্দশাগ্রস্তরা বৃষ্টির মধ্যেই খোলা প্রান্তরে মানবেতরভাবে রয়েছে অনেকেইউলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার জানান, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের ভাঙ্গন কবলিতদের দ্রুততম সময়ে তালিকা করতে বলা হয়েছেতালিকা পেলেই সহযোগিতা শুরু করা হবেকুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ২০-২৫ বছর পূর্বে মূল নদীর স্রোত ছিল এই এলাকায়গ্রামগুলোর উজানে নদী শাসনের ব্যবস্থা নেয়ায় এখানে হঠা করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছেআমরা বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিদ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে

 

সোনাতলা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে বিলীন বাঁধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী থেকে জানান রিভার সাইটের স্লোপসহ অর্ধেকটা বিলীন হয়ে গেছে পাঁচটি স্পটেতিন ভেন্টের স্লুইসের উইং ওয়ালসহ ব্লক নেইবিধ্বস্তদশায় রয়েছে স্লুইসের মূল অংশনতুন নতুন স্পটে বাঁধে ভাঙ্গন ধরেছেসোনাতলা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে পূর্ব গৈয়াতলা গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এভাবে বিলীনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪৬ নম্বর পোল্ডারের এই বাঁধ ঘেঁষা বাসিন্দারা ফি রাতেই বিধ্বস্তদশার বঁাঁধটি দেখতে যায়রাতে ঘুমাতে পারেন নাবসবাস, চাষাবাদ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেনতাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেইসবজির ঘাঁটিখ্যাত নীলগঞ্জ ইউনিয়নের এই বেড়িবাঁধটি রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ না নিলে দেড় হাজার সবজি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন জানান, ওই বাঁধটি মেরামতে তারা পরিকল্পনা নিয়ছেনপ্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে জরুরী প্রটেকশনের কাজ শুরু করবেন

×