ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচুর বৃষ্টির মধ্যেও হাজার হাজার গরু হাটে তোলা হয়েছে

চকরিয়ার ১৭টি গরুর হাটে কোরবানীর পশুর জমজমাট বেচা-কেনা

সংবাদাতা, চকরিয়া, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ১২:২১, ৪ জুলাই ২০২২; আপডেট: ১২:৫২, ৪ জুলাই ২০২২

চকরিয়ার ১৭টি গরুর হাটে কোরবানীর পশুর জমজমাট বেচা-কেনা

ইলিশিয়া বাজারে কোরবানীর গরুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়

চকরিয়ায় ১৭টি স্থানের কোরবানীর গরুর হাটে জমজমাট বেচা-কেনা চলছে। উপজেলার বিভিন্নস্থানের বড় ৪টি বাজারসহ মোট ১৭টি স্থানে গরুর হাট বসেছে। সপ্তাহের প্রত্যেকদিন উপজেলার কোন না কোন স্থানে গরুর হাট বসছে। বড় ৪টি হাটের মধ্যে সবচেয়ে বেশী জমজমাট ইলিশিয়া বাজার। সপ্তাহের বৃহস্পতি রবিবার হাট বসে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দেখা যায়, প্রচুর বৃষ্টির মধ্যেও হাজার হাজার গরু হাটে তোলা হয়েছে। ক্রেতাও প্রচুর। স্থানীয় ছাড়াও চট্টগ্রাম শহর, পটিয়া, বোয়াখালী, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া প্রভৃতি উপজেলা এলাকার সাধারণ ক্রেতাও এখানে গরু কিনতে এসেছেন। এদিন গভীর রাত অবধি গরুর হাট চলমান ছিল। গরু আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহৃত অসংখ্য মিনি ট্রাক, ব্যাটারী চালিত টমটম, সিএনজি অটো রিক্সাসহ প্রাইভেট কার গাড়ির ভিড়ের কারনে চকরিয়া- মহেশখালী সংযোগ সড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এসব সামাল দিতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়েছে। রাত অবধি গরু বেচা-কেনা চললেও কোন অঘটনের খবর পাওয়া যায়নি।

বাজারে ছোট মাঝারী গরু ছিল সর্বাধিক। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাজার ঘুরে দেখা যায়, চট্টগ্রাম শহরের হালিশহর এলাকার সাইদুল হক ১লাখ ৯০হাজার টাকা দামে একটি গরু কিনেছেন স্থানীয় এক কৃষক শফিকুলের কাছ থেকে। গরুটির ওজন ৭মণ বা কিছু বেশী হতে পারে বলে অনুমান করা হয়। ইজারাদার সূত্রে জানা যায়, বাজারের গরু বেচা-কেনার পিক আওয়ার গড়ে ঘন্টায় ১৫০টি গরু বেচা-বিক্রি হয়ে থাকে।

বাজার কমিটির সভাপতি, মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় পশ্চিম বড় ভেওলা ইউপির চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলা জানান, বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা বিধান করা আমাদের কর্তব্য। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কারনে এখানে কোন সময় ছিনতাই ডাকাতির ঘটনা ঘটে না। কারন সারা বছর সপ্তাহে ২দিন করে এই বাজারে গরু ছাগলের হাট বসে। গরুর বাজারকে কেন্দ্র করে এলাকার সাধারণ কৃষকের মাঝে গরু-ছাগল লালন পালন করার একটি প্রচলন গড়ে উঠেছে বৃটিশ আমল থেকে। এজন্য এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে এখানে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা প্রদানের প্রবণতা কাজ করায় তেমন অঘটন ঘটে না বলে ইউপি চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন

এদিকে মহাসড়কে গরুর হাট না বসানোর নির্দেশনা থাকলেও চকরিয়া উপজেলাধীন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কয়েকটি জায়গায় বিকেলে গরুর হাট বসার খবর পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ৩৭ কিলোমিটার রাস্তা চকরিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে গেছে

চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, স্বল্প জনবল দিয়ে ১৭টি গরুর হাট সামলানো কঠিন হওয়ায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স চাওয়া হয়েছে।

 

 

×