বিষপানে মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় শ্যালিকা দুলাভাইয়ের প্রেম ভেঙ্গে দেওয়ায় প্রেমিকা বিথী আক্তার (১৫) বিষপানে মৃত্যু বরণ করেছে। নিহত স্কুলছাত্রী ভান্ডারদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছিল এবং ধনতলা ইউনিয়নের ভান্ডারদহ গ্রামের কাইযুমের মেয়ে ছিল। বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, একই ইউনিয়নের সুবহানপাড়া গ্রামের শাহাজত আলীর ছেলে সুমন ইসলাম (৩২) এর সাথে পাঁচ বছর আগে বিথীর বড় বোনের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে সুমন দুই সন্তানের জনক।
কিছুদিন আগে বিথী তার দুলাভাই সুমন ইসলাম এর সাথে পালিয়ে যায়। পরে ধনতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাদের সাথে যোগাযোগ করে ঢাকা থেকে ফিরিয়ে আনে। পরে এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে শালিস বৈঠকে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবেনা বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে মেয়েটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে ও ছেলেকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর পর মেয়েটি তার দুলাভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে থাকার বায়না করলে বাড়ির লোকজন তাকে সেখানে যেতে না দেওয়ায় দুপুরের দিকে মেয়েটি বিষপান করলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটির মৃত্যু হয়। দুলাভাইয়ের সাথে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক নষ্ঠ হওয়ার কারণেই সে বিষপান করেছে বলে স্থানীয়রা ধারণা পোষণ করেন। ধনতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম জানান, 'ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে তবে কারো কোন অভিযোগ পাওয়া না গেলেও লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।