ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

হবিগঞ্জে গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় ক্রেতা-বিক্রেতারা

​​​​​​​নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯:৪১, ১ জুলাই ২০২২

হবিগঞ্জে গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় ক্রেতা-বিক্রেতারা

ঘাস খাওয়ানো শেষে বিকেলে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছেন রাখাল

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খামারিরা গরু পালন করে থাকেন আশায় থাকেন গরু বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার অবস্থায় হবিগঞ্জে গরু কেনা নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না গরুর দাম আকাশচুম্বী কারণে ক্রেতা-বিক্রেতারা দুশ্চিন্তায় আছেন

জেলার একদিকে হাওড় অপরপ্রান্তে পাহাড়ি এলাকা বিশেষ করে হাওড় পাহাড়ি এলাকায় প্রাকৃতিক ঘাসের সুবিধা থাকায় অনেকেই গরু পালন করেন ফলে এখানে ছোট, বড়, মাঝারি আকারে গরুর খামারও গড়ে উঠেছে

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, জেলাজুড়ে এমন খামারের সংখ্যা প্রায় হাজারের বেশি  খামারগুলোতে গরু রয়েছে ১২ হাজারেরও বেশি  খামার ছাড়াও গ্রাম, পাহাড় হাওড় এলাকার প্রায় বাড়িতেই গরু পালন হয়ে থাকে পুরো বছরজুড়ে গরু পালন করে ঈদে বিক্রি করার মাধ্যমে লাভবান হওয়ার আশা করেন এসব গরু পালনকারীরা কিন্তু বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতিতে দাম বেশি থাকায় ক্রেতাদের মাঝে গরু কেনা নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না আর বিক্রেতারাও আকাশচুম্বী মূল্য ছাড়া গরু বিক্রি করতে নারাজ জেলাজুড়ে নির্ধারিত স্থানের বাজারগুলোতে গরু বিক্রি শুরু হয়েছে তবে ক্রেতা কম

জানা গেছে, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রতি বছরই জেলার হাওড় পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রায় থেকে হাজার গরু বিক্রি হয়ে থাকে বছর এখন পর্যন্ত হাওড় পাহাড়ি এলাকায় গরু ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে তেমন কোনো ৎপরতাই নেই

পাহাড়ি এলাকার খামার মালিক তাজুল ইসলাম চৌধুরী, নূরুল ইসলাম, কাছুম আলী বলেন, প্রাকৃতিক ঘাসের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করা হয় ঈদে বিক্রির জন্য কিন্তু বছর তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না একই কথা শোনালেন হাওড় এলাকার খামারি সিদ্দিক মিয়া, সুরুজ মিয়া, হাছন মিয়ারাও এনিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় আছেন

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, খামার গ্রামগঞ্জের  অনেক বাড়িতে গরু পালন করা হয় লাভের আশায় পবিত্র ঈদুল আজহার বেশি বাকি নেই গরুর বাজার চালু আছে জেলার গরুগুলো ঘাস খেয়ে মোটাতাজা হচ্ছে তাই ক্রেতাদের আগ্রহ থাকে এসব গরু ক্রয়ের

 

×