স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ পর্যটন নগরী কক্সবাজারের ৫টি উপজেলা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় বুধবার ভোর থেকেই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের চিকিৎসাদলসহ সেনা সদস্যরা। সেনাবাহিনীর একাধিক গাড়ি জেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি এলাকাতে টহল দিতে দেখা গেছে। এর আগে মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে সেনাবাহিনীর কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হয় ও স্থানসমূহ সরেজমিনে পর্যবেক্ষন করা হয়।
বুধবার সকাল থেকেই সেনাবাহিনী টহল কার্যক্রম শুরু করেছে। কোনো জায়গায় বেশি লোকজন যেন সমবেত হতে না পারে, সবাই যেন নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাফেরা করে এবং যথাযথভাবে সরকারী নির্দেশনাসমূহ মেনে চলে সেনাবাহিনী এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করছে। প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের কাজে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া গেলে তাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় সেনাবাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক নতুন চেকপোস্ট স্থাপন ও টহল কার্যক্রমের পরিধি বহুগুনে বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমিত করা হয়েছে বহিরাগতদের চলাচল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেনাবাহিনী মাঠে নামার পর থেকেই সাধারণ মানুষের বাহিরে আসার প্রবণতা কমে এসেছে। রাস্তাঘাটে খুব কম সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি এমনকি সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটনকেন্দ্রগুলো সহ বহু এলাকা প্রায় জনমানবশূন্য। প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে রাস্তাঘাট। সেনাসদস্যরা মাইকিং, লিফলেট বিতরণ করে এবং প্রেষণার মাধ্যমে বাহিরে অবস্থানরত লোকদের ঘরে ফিরে যাবার তাগিদ দিচ্ছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: