ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পরিবার নিয়ে আশঙ্কায় বাংলাদেশে অবস্থান করা বিদেশী ফুটবলাররা

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২৬ মার্চ ২০২০

পরিবার নিয়ে আশঙ্কায় বাংলাদেশে অবস্থান করা বিদেশী ফুটবলাররা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দেশি ফুটবলারদের ছুটি দিলেও নানা জটিলতায় ক্লাবগুলোতে এখনও আটকে আছে অনেক বিদেশী ফুটবলার। মুক্তিযোদ্ধার পাঁচ ফুটবলার সময় কাটাচ্ছেন হোম কোয়ারেন্টিনে। পরিবার-পরিজন ছেড়ে চার দেয়ালের মাঝেও স্মৃতিচারণ করছেন পরিবারের। করোনার প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে ইচ্ছে পোষন করছেন দেশে ফেরার। এদিকে মাঠে খেলা না থাকায় ফুটবলারদের পারিশ্রমিক দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বেশিরভাগ দেশি ফুটবলারদের ক্লাবগুলো ছুটি দিয়ে দিয়েছে। তবে নানা জটিলতায় রয়ে গেছে প্রায় সব বিদেশী ফুটবলার। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে এভাবেই রয়ে গেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের পাঁচ ফুটবলার। পরিবার ছেড়ে বাংলাদেশে পড়ে আছেন। কারণটা যে ওই ফুটবল। নিজ দেশে করোনা জেঁকে বসেছে। এখানে সেই অনুপাতে কম। তাই সহসাই দেশে ফেরা হচ্ছে না। বন্দী দেয়ালে তাই সতীর্থের সঙ্গে খুনসুটি করেই সময় কাটছে মুক্তিযোদ্ধার জাপানি ফুটবলার নোরিতো হাসিগুচির। তিনি বলেন, আমাদের দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। ওখানকার ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছে। সেখানে যেতে পারছি না। ক্লাবেই সময় কাটাচ্ছি। ঘরের বাইরে একদম বের হচ্ছি না। অবসরের এই সময়টায় ফিটনেস ধরে রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জ। পাঁচ ফুটবলার নিয়মিত জিম করছেন। তবে ক্লান্ত দেহ যখন শিথিল হয়ে আসে, তখন পরিবারের কথা মনে পড়ে। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার আলবার্ট ফ্রাঙ্ক সান্তোস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ামাত্র দেশে ফিরতে চান। তিনি বলেন, ব্রাজিলের বর্তমান অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এখান থেকে গেলে ওখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আমার ছেলেকে খুব মিস করছি। ও প্রতিদিন কল দেয়। আমার মাকেও খুব মিস করি। খেলোয়াড়দের সুরক্ষার বিষয়ে বেশ সতর্ক ক্লাব কর্তৃপক্ষ। স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ দিচ্ছে নিয়মিত। তবে নিরাপত্তার ফাঁক গলিয়ে যেকোন সময় হামলে পড়তে পারে করোনা। তাই সর্বোচ্চ সতর্কতার আহ্বান নাইজেরিয়ান ফুটবলার চিতাচি অরিয়াকুর। দুর্যোগের এই দিনে বিদেশী ফুটবলার রাখাটা মরার উপর খাঁড়ার ঘা ক্লাব কর্তৃপক্ষের। কবে লিগ শুরু হবে জানে না কেউ। এই অনিশ্চিত সময়ে বিদেশীদের পারিশ্রমিক দিতে হিমশিম খাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা। অস্থিতিশীল পরিবেশ কাটিয়ে প্রিয়জনের কাছে ফুটবলাররা ফিরুক। মানুষ নয়, বন্দী করা হোক মরণঘাতী ভাইরাসকে। দুর্দিনে প্রত্যাশা এটুকুই।
×