ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

টেলিযোগাযোগ খাতে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত: ১০:৪৭, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 টেলিযোগাযোগ খাতে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

ফিরোজ মান্না ॥ বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে। ২০২৩ সালে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালুর ক্ষেত্রে এ সহযোগিতা দেয়ার কথা রয়েছে। টেলিযোগাযোগ খাতকে বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক ডিজিটাল অবকাঠামোগত উন্নয়নেও সহযোগিতা দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকেই বিশ্বব্যাংক আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ডিজিটাল বিপ্লব দেশের সব এলাকায় পৌঁছে গেছে। তৈরি করা হয়েছে প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে প্রযুক্তির অভাবনীয় ভার্সন ফাইভ জি প্রযুক্তি চালু করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে ফাইভ জি প্রযুক্তির পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্প্রসারণে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ফাইভ জি প্রযুক্তি কেবল কথা বলার প্রযুক্তি নয়, কৃষি, মৎস্যসহ শিল্পের প্রতিটি শাখায় অভাবনীয় পরিবর্তনের সূচনা করবে। সভ্যতায়ও বড় পরিবর্তন ঘটাবে। সূত্র জানিয়েছে, দেশের মানুষকে ডিজিটাল সিকিউরিটি নিশ্চিত করার জন্য নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ ঠিক রেখে নারী,শিশু, সমাজ ও রাষ্ট্রকে নিরাপদ করার জন্য কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সাইবার থ্রেড প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শেষ রয়েছে। সাইবার থ্রেড প্রকল্পের মাধ্যমে ২২ হাজার পর্নো সাইট বন্ধ করা হয়েছে। ‘টিকটক’ নামের ২ লাখ ভিডিও অপসারণ করাসহ ব্যক্তিগত নোংরামিও অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে। কয়েকটি সংস্থা একযোগে এসব কাজ করে যাচ্ছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের ফলে এ সব করা সম্ভব হচ্ছে। সংস্থাগুলোতে বাড়তি জনবল নিয়োগও করে সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখার কাজ চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আর আগের মতো দেশবিরোধী অপপ্রচার হচ্ছে না। ব্যক্তিপর্যায়েও নোংরামি অনেকাংশে কমে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এ ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা রাখছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার রোধে ‘কন্টেন্ট ফিল্টারিং’ করা হচ্ছে। ফেসবুকে ফিল্টারিংয়ের কোন ব্যবস্থা নেই। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, তারা বাংলাদেশের বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি রাখবেন। তারা আপত্তিকর কন্টেন্ট নিজে থেকেই ফিল্টারিং করে দেবে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ঢাকায় এসে কয়েক দফা বৈঠক করেছে বিটিআরসির সঙ্গে। ওই সব বৈঠকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
×