ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশীর অবস্থা আশঙ্কাজনক

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশীর  অবস্থা  আশঙ্কাজনক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক বাংলাদেশীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিভিয়ান বালাকৃষ্ণন তাঁকে টেলিফোনে জানান, ৩৯ বছরের ওই বাংলাদেশী চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) একটি বিশেষ বৈঠক উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ১৩ দিন ধরে ওই বাংলাদেশী সিঙ্গাপুরে এক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না। সাড়া না দেয়ায় সিঙ্গাপুর যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুরুতর অসুস্থ ওই বাংলাদেশী রোগীর সুস্থতার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। এদিকে, চীন, সিঙ্গাপুর ও আক্রান্ত দেশে ভ্রমণ না করলে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার কোন প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মীরজাদী সাব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ‘করোনাভাইরাসমুক্ত’। মোট ৫ বাংলাদেশীর করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের একজন আইসিইউতে আছেন। এছাড়া কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন পাঁচ বাংলাদেশী। করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার আইইডিসিআর মিলনায়তনে নিয়মিত অবহিতকরণ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডাঃ ফ্লোরা। এখন পর্যন্ত দেশে ‘করোনাভাইরাস’ পাওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আইইডিসিআরের ভাইরোলজি ল্যাবে এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কারও শরীরে করোনাভাইরাস নমুনা পাওয়া যায়নি। কোয়ারেন্টাইনে উহান ফেরত বাংলাদেশীরা বাড়িতে গিয়ে সুস্থ আছেন। তিনি করোনাভাইরাস নিয়ে সৃষ্ট নানা গুজব পরিহার করার আহ্বান জানান। দেশের জল, স্থল ও আকাশপথে বাংলাদেশে আসা প্রত্যেককে স্ক্রীনিং করা হচ্ছে জানিয়ে অধ্যাপক ডাঃ ফ্লোরা বলেন, এ বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমুদ্রবন্দর স্থলবন্দর রেলপথ ও বিমানপথে আসা ২ লাখ ২০ হাজার ৫৫৩ জনকে স্ক্রীনিং করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় স্ক্রীনিং করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬২৩ জনকে। এভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরে বিদেশ থেকে আগত স্কীনিংয়ের যাত্রী সংখ্যা ৮৫২৮। চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরে স্ক্রীনিংয়ের যাত্রী ছিল ১৩৭ ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে স্ক্রীনিং করা হয়েছে ২৫২ যাত্রীকে। এ ছাড়া অন্য চালু স্থলবন্দরে স্ক্রীনিংয়ের যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৬৮৫৩।
×