ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এবার মিলছে ৬২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড বৈদেশিক সহায়তা

প্রকাশিত: ১০:৫৪, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

  এবার মিলছে ৬২ হাজার  কোটি টাকার রেকর্ড  বৈদেশিক সহায়তা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীই (এডিপি) মূল উন্নয়ন বাজেট। আমাদের সরকার প্রধানের নিবিড় তদারকির কারণে ৬২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড বৈদেশিক সহায়তা আসছে আরএডিপিতে। ছয় মাসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর অর্থ ব্যয় কাক্সিক্ষত হয়নি। কাক্সিক্ষত হলে আরও বাড়ত বলে জানান অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ। বুধবার শেরেবাংলা নগর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নাজিয়া সালমা কনফারেন্সে ‘এফেকটিভ পার্টনারশিপ উইথ মিডিয়া ফর সাসটেনেবল গ্র্যাজুয়েশন’ শীর্ষক কর্মশালায় সচিব এসব কথা বলেন। সচিব আরও বলেন, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বেড়েছে। এখন বাংলাদেশকে সবাই ঋণ দিতে চায়। আমাদের সরকার প্রধানের নেতৃত্বে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মডেল। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে ২০২১ সালের মধ্যে যে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে তা বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই অর্জন করেছে। শর্তগুলো হলো- ১. মাথাপিছু আয় ১২৪২ মার্কিন ডলার; বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার মার্কিন ডলার। ২. দেশের ৬৬ শতাংশ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হওয়া; বাংলাদেশ এটি ৭০ শতাংশে উন্নীত করেছে। ৩. অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর না হওয়ার মাত্রা ৩০ শতাংশের নিচে থাকা; বাংলাদেশে তা ২৫ শতাংশ। সচিব আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন দেশ এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকা জরুরী। যেটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করবে জাতিসংঘের ইকোনমিক ও সোশ্যাল কাউন্সিল। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। সচিব আরও বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ শনাক্ত করতে হবে। সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এই দেশ সবার, সবার উচিত সরকার প্রধানকে সহযোগিতা করা। পাইপ লাইনে অনেক টাকা আছে এটা উন্নয়নের জন্য ভাল। বৈদেশিক সহায়তা কমেনি বরং বেড়েই চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে সচিব আরও বলেন, আমাদের সরকার প্রধান সব সময় মনিটরিং করেন। মেগা প্রকল্পগুলো সরাসরি তিনি দেখভাল করেন শত ব্যস্ততার মধ্যেও। ২০০৯ সালে যেখানে বৈদেশিক সহায়তা ৩ বিলিয়ন ডলার ছিল বর্তমানে তা ৭ বিলিয়ন ডলার ক্রস করেছে।’ ইআরডি সচিব হিসেবে শেষ কর্মদিবসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মনোয়ার আহমেদ বলেন, সবাইকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। এমনভাবে রিপোর্ট করতে হবে যেন দেশের মুখ দেশে-বিদেশে উজ্জ্বল হয়। কারণ একটা ভুল রিপোর্টে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হতে পারে। সঠিক ও নির্ভুল রিপোর্টিংয়ে ইআরডি সব সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ’ (ডিজেএফবি) এর জন্য এই কর্মশালার আয়োজন করে ইআরডি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইআরডির সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আযম, ইআরডির যুগ্ম সচিব আব্দুল বাকি, ডিজেএফবির সভাপতি হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান প্রমুখ।
×