ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেশের অখন্ডতা ও সাবভৈামত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত ॥ আজিজ

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দেশের অখন্ডতা ও সাবভৈামত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত ॥ আজিজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, দেশের অখন্ডতা ও সাবভৈামত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত ও তার সক্ষমতা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মায়ানমারে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। মায়ানমার ও বাংলাদেশের সীমারেখার মাঝামাঝি সেবাহিনীর আগমন ঘটে সেটা তাদের কাউন্টার ইনসাজের্নসি। সবাই জানেন যে, সেখানে আরাকান আরর্মি ও অন্যান্য ইনসাজের্নসি গ্রুপ রয়েছে। সেখানে তাদের সাথে প্রতিনিয়ত সংর্ঘষ হচ্ছে। সেই সংর্ঘষের জন্য কখনও তারা সৈন্যদের রিংফোর্স করার জন্য ঘটায়। মায়ানমার বলেছে, তাদের সংবিধান অনুযায়ি অন্য কোন দেশের সীমালঙ্ঘন তাদের সংবিধান পরিপন্থি। তারা বরঞ্চ ওইসব গ্রুপদের সাথে লড়াই করার জন্য আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে। আমরা যেন ওইসব গ্রুপদের আমাদের এলাকায় ঢুকতে না দেই, সেই বিষয়ে কৃতজ্ঞ থাকবে বলেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬টি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠান আজ মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। সেনা প্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে ওইসব গ্রুপ বা সন্ত্রাসীদের আমাদের জায়গা ব্যবহার করতে না দেয়ার। আর সেন্টমার্টিনের বিষয়ে যদি আকাশসীমা লঙ্ঘিত হয়ে থাকে তাহলে সেটা অনাকাঙ্খিত বলেছে মায়ানমার। তারা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিবে যেন ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা আর না ঘটে। তাদের সাথে বৈঠকে আমি সন্তুষ্ট। তাদের সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক বজায় থাকবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনীকে আধুনিকায় করা হচ্ছে এবং শান্তিরক্ষা মিশনে এখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। অবস্থান আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। সেনাবাহিনী প্রধান রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্ত ইউনিটসমুহকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্তি যে কোন ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশমাতৃকার যেকোন প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটসমূহকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। সেনা প্রধান প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত হলে ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে প্যারেড কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯ পদাতিক ডিভিশনের একটি সম্মিলিত চৌকষ দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাপ্রধানকে সালাম প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্নস্তরের সেনা কর্মকর্তা, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়সহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক ইউনিটসমুহ কতৃর্ক সেনাবাহিনী তথা দেশমাতৃকার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়। এর প্রক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪ ফিল্ড রিজিমেন্ট আর্টিলারী, ১১ আর ই ব্যাটালিয়ন, ১৮ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ৩ সিগনাল ব্যাটালিয়ন, ১৭ বীর এবং ১৯ বীর এই কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে।
×