ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি আইনী প্রক্রিয়া মেনেই হতে হবে ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৫২, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি আইনী প্রক্রিয়া মেনেই হতে হবে ॥ আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খালেদা জিয়ার প্যারোলের মুক্তির বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন আছে এবং সেখানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে এ পদ্ধতিতে মুক্তির জন্য কোথায় কিভাবে দরখাস্ত করতে হবে। তিনি বলেন, প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি প্রফেশনাল করতে গেলে আইনী প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে। তাই প্যারোলে মুক্তির দরখাস্ত এবং সব নিয়ম-কানুন মানার পরেই সরকার এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত দরখাস্ত বা এরকম কিছু পাওয়া না যাবে ততক্ষণ হাওয়ার ওপরে কথা বলার প্রয়োজন নেই। রবিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ সংস্থাসমূহের জন্য প্রণীত আইন বিষয়ক ম্যানুয়েলের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নট-ফর-প্রফিট ল (আইমিএনএল)-এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও সঞ্চালক ছিলেন শারমিন খান। এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, সুশীল সমাজ প্রত্যেকটি মানুষের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, সুশীল সমাজের অধিকারের সঙ্গে যুক্ত নয়। সুশীল সমাজ আইন ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে বেশি সক্রিয় হয়ে থাকে। সাধারণ মানুষের মধ্যে নাগরিক মনোভাব গঠন এবং তা টিকিয়ে রাখার দায়িত্বও রয়েছে এ সমাজের। আনিসুল হক বলেন, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সুশীল সমাজ নাগরিকগণের উদ্বেগ, অগ্রাধিকার এবং সুযোগ-সুবিধার কথা সরকারের কাছে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটাই সাভাবিক। সরকার এটিকে স্বাগত জানাবে। কিন্তু কখনও কখনও আমরা লক্ষ্য করি, বাংলাদেশের সুশীল সমাজের অনেকে কোন না কোন রাজনৈতিক দলের কিংবা আন্তর্জাতিক সংগঠনের সহযোগী হিসেবে রাজনৈতিক মঞ্চে এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকা-ের বিপরীতে অবতীর্ণ হয় যা আমাদের সুশীল সমাজের গৌরবোজ্জ্বল অতীতকে পীড়া দেয়। তিনি বলেন, এসব দুর্বলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের সুশীল সমাজ জনগণের অধিকার সংরক্ষণ এবং কল্যাণ নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, এটিই আমাদের সবার কাম্য। দেশ আমাদের। দেশকে নিয়ে, দেশের উন্নয়ন নিয়ে আমরা সবাই ভাবব, কথা বলব, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব- এমন কর্মকা-ই হোক আমাদের আগামী দিনের পথ ও পাথেয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার ও বাংলাদেশে ডিএফআইডি’র সিনিয়র গবর্নেন্স এ্যাডভাইজার ও গবর্নেন্স টিম লিডার আসিমলিন ব্যাকার। অনুষ্ঠানের প্যানেল আলোচক ছিলেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য আরমা দত্ত।
×