ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারের জন্য এডিবির দেড় হাজার কোটি টাকা অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৮:১২, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

পুঁজিবাজারের জন্য এডিবির দেড় হাজার কোটি টাকা অনুমোদন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজার পুনর্গঠন, বিকাশ ও কাঠামোগত উন্নয়নে ১৭ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। থার্ড ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (সিএমডিপি-৩) আওতায় দ্বিতীয় ধাপে এই ঋণ অনুমোদন করলো সংস্থাটি। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা। এর আগে একই প্রকল্পে ৮ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল এডিবি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এবার দিচ্ছে তার দ্বিগুণের বেশি। ফিলিপাইনের ম্যানিলায় এডিবির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় এ ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে বলে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নিশ্চিত করেছে এডিবি’র ঢাকা অফিস। এডিবির এক্সট্রারনাল রিলেশন বিভাগের টিম লিডার গোবিন্দ বার বলেন, ‘২০১৫ সালের নবেম্বরে দেশের পুঁজিবাজার সংস্কারে ২৫ কোটি ডলারের সিএমডিপি-৩ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে ৮ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে আরো ১৭ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে এডিবি। এই ঋণ পুঁজিবাজারের পুনর্গঠনে ব্যবহার করা হবে।’ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বিকাশে ১৯৯৬ সালে ৮ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেয় এডিবি। এরপর ২০১০ সালের ভয়াবহ ধসের পর আবারো পুঁজিবাজারকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসে সংস্থাটি। ২০১২ সালে সিএমডিপি-২ প্রকল্পের আওতায় এডিবি দুই ধাপে ৩০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দেয়। আর সর্বশেষ ২০১৫ সালে সিএমডিপি-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে দুই ধাপে ২৫ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেয় এডিবি। এডিবির আর্থিকখাত বিশেষজ্ঞ তাকোয়া হোশিনো বলেন, ঋণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর রূপান্তর ঘটবে। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে গেলে টেকসই পুঁজিবাজারের বিকল্প নেই। এডিবির ঋণে টেকসই পুঁজিবাজার গঠনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, সামনে আরো হবে বলে আশা করছি। এডিবি ২০১২ সালে সিএমডিপি-২ প্রকল্প অনুমোদনের সময় থেকেই পুঁজিবাজারের বর্তমান সংস্কার কার্যক্রমকে সহায়তা করে আসছে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরের বাজার ধসের পর বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের পথে পুঁজিবাজারকে ফিরিয়ে আনাই ছিল এ প্রকল্পের লক্ষ্য। প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ বছর মেয়াদি জাতীয় পুঁজিবাজার উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ডি-মিউচুয়ালাইজেশন, উন্নত করপোরেট সুশাসন, আর্থিক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষাকে আরো বেশি বিশ্বাসযোগ্য করা এবং বিমা খাতের উন্নয়নে বেশকিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
×