ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রীষ্মকালীন সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে

প্রকাশিত: ১০:০১, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

গ্রীষ্মকালীন সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গরম না পড়তেই গ্রীষ্মকালীন সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে রাজধানীতে। করলা, উস্তে, বরবটি ও লাউয়ের মতো ওষুধি সবজির স্বাদ নিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা গুনতে হচ্ছে একজন ভোক্তাকে। চাহিদা বাড়ছে কাঁচা পেঁপের। অন্যদিকে শীতের সবজির সরবরাহ কমতে শুরু করেছে। ফলে ফুলকপি, বাধাকপি, শিম, গাজর, টমেটো ও মটরসুটিসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম এখন বেশি। সবজির পাশাপাশি বেড়েছে চায়না ও আদা রসুনের। তবে দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় নতুন করে আর পেঁয়াজের দাম বাড়েনি। চাল, ডাল, ভোজ্যতেল ও আটার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে চিনি। এছাড়া মাছ-মাংসের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, মিরপুর সিটি কর্পোরেশন মার্কেট, রায়ের বাজার সিটি কর্পোরেশন মার্কেট এবং মোহাম্মদপুর কৃষিমার্কেট থেকে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবির বাজারদর প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে, চীন থেকে আমদানিকৃত রসুন ও আদার দাম বাড়তি। এদিকে, শীতকালীন মৌসুম শেষে বসন্ত শুরু হয়েছে মাত্র। ফাল্গুনের শুরুতে এবার সবজির দাম চড়া। সাধারণত প্রতিবছর এই সময়টাতে টমেটো, গাজরসহ শীতকালীন সবজির দাম একেবারে নিচের দিকে নেমে আসে। কিন্তু এবছর উল্টোচিত্র দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বেড়ে গেছে সব ধরনের সবজির দাম। ওষুধিখ্যাত করলা, উস্তে, বরবরটি, লাউ, পেঁপে এবং কাঁচকলা চড়া দামে বিি হচ্ছে। হঠাৎ করে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিরক্ত সাধারণ ভোক্তারা। রায়ের বাজার থেকে সবজি কিনছিলেন, দিনমজুর হানিফ মিয়া। তিনি বলেন, করলা ও বরবটির গায়ে হাত দেয়া যাচ্ছে না। দাম এত বেশি যে এগুলো এখন টাকাওয়ালাদের সবজি। সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীত চলে যাচ্ছে। এখন করলা, উস্তে ও বরবটির মতো সবজির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আর এ কারণে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম চড়া। এছাড়া এখনো গ্রীষ্মকালীর সবজির সরবরাহ বাড়েনি। সবমিলিয়ে সবজির দাম কমতে একটু সময় লাগতে পারে। এদিকে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সবজির পাশাপাশি চীন থেকে আমদানিকৃত আদা ও রসুনের দাম বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিকেজি রসুন ১৮০-২২০ এবং আদা ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশী নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। গত সপ্তায় এই পেঁয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ সপ্তায় চিনির দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতিকেজি চিনিতে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৩-৬৫ টাকায়। এছাড়া চাল, ডাল, ভোজ্যতেল ও আটার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। নতুন করে আর এসব পণ্যের দাম বাড়েনি। এছাড়া মাছ-মাংসের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে পর্যাপ্ত ইলিশ মাছ। আকার ও সাইজভেদে প্রতিকেজি ইলিশ মাছ ৫৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া বাজারে দেশী মাছের সরবরাহ অন্য যেকোন সময়ের বেশি। তবে দেশী মাছের সরবরাহ বাড়লেও সেই তুলনায় দাম কমেনি। প্রতিকেজি রুই মাছ ২২০-৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া তেলাপিয়া ১৩০-১৭০, শিং ৩০০-৪৫০, শোল মাছ ৪০০-৭৫০, পাবদা ৪০০-৫০০, টেংরা ৪৫০-৬০, নলা ১৮০-২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা কেজি দরে। গরু ও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
×