ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্ত বরণ

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্ত বরণ

জাবি সংবাদদাতা ॥ প্রকৃতি খুলে দিয়েছে দক্ষিণ দুয়ার । সে দুয়ারে বইছে ফাগুনের হাওয়া। বসন্তের আগমনে কোকিল গাইছে গান। ভ্রমরও করছে খেলা। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। কারণ একটাই বসন্ত এসে গেছে। ফাগুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতেই প্রকৃতির আজ এত বর্ণিল সাজ। বসন্তের এই আগমনে প্রকৃতির সঙ্গে তরুণ হৃদয়েও লেগেছে দোলা। প্রতিবারের মতো এবারো ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিতে নতুন সাজে সেজেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা বিদ্যাপীঠ জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসের আনাচে-কানাচে ফুটে থাকা মুহুমুহু ফুলের ঘ্রাণ যেন বসন্তকে নতুন রুপ দিয়েছে। জাবিতে মহাসমারোহ ও বহু-বর্ণিল সাজে বসন্ত বরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বসন্তের এ দিনে তরুণীরা হলুদ আর বাসন্তী রঙের শাড়ি ও তরুণরা সাদা রংয়ের পাঞ্জাবি পরে সামিল হয়েছে বসন্ত বরণ উৎসবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন মহুয়াতলায় অনুষ্ঠিত বসন্ত বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্র। কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান চৌধুরী অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের কাছে বাসন্তী আমেজ খুবই সমাদৃত। বসন্ত আমাদের জীবন রাঙিয়ে দিয়ে যায়। বসন্তের চমৎকার আবহাওয়া ও প্রকৃতির নব সাজ আমাদেরকে উল্লসিত ও উৎফুল্ল করে। বসন্তের মধ্যদিয়ে আমরা যেনো জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করি। আপনারা সবাই জানেন ফুল ফোঁটে বনে তার শিহরণ লাগে আমাদের মনে। বসন্ত এমনই সুন্দর ও সৌন্দর্যম-িত ঋতু।” শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্র বসন্ত বরণ উপলক্ষে নাচ গান কবিতা আবৃতির ব্যাপক আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আকাশ সরকারের পরিচালনায় যারা নৃত্য ও গান পরিবেশতি হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উপ-পরিচালক (কালচারাল) ফাহমিদা মল্লিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাহদী হাসান। দর্শক ও শ্রোতাবৃন্দ মন্ত্রমুগ্ধের মত বসন্ত বরণ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
×