ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাদকমুক্ত ঢাকা গড়ার প্রত্যয় আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীদের

প্রকাশিত: ১১:০৪, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

মাদকমুক্ত ঢাকা গড়ার প্রত্যয় আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মাদকমুক্ত ঢাকা শহর গড়ার লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা। সেই সঙ্গে আধুনিক ও সচল ঢাকা গড়তে নতুন ওয়ার্ডগুলোও পাবে নগরের সর্বাধুনিক সুবিধা। সোমবার ১৭তম দিনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা নগর নিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিতে এসব কথা বলেন। এ সময় উন্নয়ন এগিয়ে নিতে একটি আধুনিক ঢাকা গড়তে নৌকা মার্কায় ভোট চান। সোমবার রাজধানীর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের মাসকট প্লাজা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন আতিকুল। এ সময় আয়োজিত এক পথসভায় ঢাকা উত্তরের আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, উন্নয়ন হবে। সে উন্নয়নের চাইতে আরও বেশি উন্নয়ন হবে যদি আমরা একটি সুস্থ, মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে পারি। আপনাদের সবাইকে নিয়ে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই। সেই আন্দোলন হবে মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন। মাদকমুক্ত শহর গড়ার লক্ষ্যে আমরা সবাই মিলে কাজ করব। আসুন, মাদককে আমরা সবাই না বলি। নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আর মাত্র দুই দিন আমরা প্রচার চালাতে পারব। আর এক মুহূর্ত ঘরে বসে না থেকে, সময় নষ্ট না করে, বাড়িতে বাড়িতে, ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটের ক্যাম্পেনকে আরও শক্তিশালী করুন। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ক্যাম্পেন করুন, ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করুন। ভোট কেন্দ্রে যত বেশি ভোটার আসবে, আওয়ামী লীগ তত বেশি ভোটে জয়লাভ করবে। নির্বাচিত হলে মেয়র ও কাউন্সিলরদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি যদি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হই, তাহলে আমি কথা দিতে চাইÑ প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিমাসে ওই এলাকার জনগণের সামনে মেয়র ও কাউন্সিলররা উপস্থিত হবেন। অর্থাৎ জনগণের মুখোমুখি হয়ে তাদের কথা শুনব, অভিযোগ জানব, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেব। যার মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন, মেয়র ও কাউন্সিলররা জবাবদিহির আওতায় আসবে। নির্বাচনী প্রচারে জনদুর্ভোগ যাতে না হয় সেজন্য নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আতিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে জনগণের কাছে আপনাদের যেতে হবে, উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে হবে। আর এমন গণসংযোগের সময় আপনাদের, জনগণের ভোগান্তি যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গণসংযোগের নামে কোনভাবেই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে না। জনদুর্ভোগ হলে কিন্তু ভোট বাড়বে না, ভোট কমবে। তাই জনগণের ভোগান্তি যেন না হয় সে বিষয়ে আপনারা গুরুত্বসহকারে নজর রাখবেন। এদিন আতিকুল ইসলাম উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এখান থেকে ১১ নম্বর সেক্টর, বাউনিয়া, নলভোগ, কালিয়ারটেক এলাকায় গণসংযোগ করে নৌকার পক্ষে ভোট চান এই মেয়রপ্রার্থী। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নানসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও দলীয় নেকতাকর্মীরা সঙ্গে ছিলেন। এদিকে, নির্বাচনী প্রচার কাজে নগরজীবনে ‘অনাকাক্সিক্ষত সমস্যা’ সৃষ্টি হচ্ছে স্বীকার করে সেজন্য ক্ষমা চেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। তার নির্বাচনী প্রচার বিভাগের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারে শব্দযন্ত্রের ব্যবহার, প্রচার দফতরে বিপুল মানুষের জনসমাগমের ফলে নাগরিক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকার সকল সমস্যা চিহ্নিত করে সকলের পরামর্শে তার পূর্ণ সমাধান খুঁজতে, আমি, মেয়র পদপ্রার্থী মোঃ আতিকুল ইসলাম, আপনার এলাকায় আমাদের নির্বাচনী দফতর স্থাপন করেছি। প্রতিদিন প্রচুর দলীয় নেতাকর্মী এবং শুভাকাক্সক্ষী আমাদের এই দফতরে আসছেন এবং তাদের সকলের সঙ্গে কথা বলার জন্য অনেক সময় আমাকে শব্দযন্ত্রের ব্যবহার করতে হচ্ছে। বিপুল পরিমাণে জনসমাগম এবং শব্দের কারণে আপনার এবং আপনার পরিবারকে হয়ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এমন কোন অনাকাক্সিক্ষত সমস্যা যদি হয়ে থাকে তার জন্য আমি এবং আমার নির্বাচনী দলের সকলের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এদিকে, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করতে বিএনপির প্রার্থীরা পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। সোমবার ডেমরার সারুলিয়ায় গণসংযোগে গিয়ে তিনি বলেন, সংঘর্ষ বাধিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে নির্বাচনের পরিবেশকে অস্থিতিশীল হিসেবে উপস্থাপন করতে তারা (বিএনপি) পাঁয়তারা করছে। তাপস বলেন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা অপরাজনীতির চর্চা করছে। নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টায় রয়েছে তারা। নিজেরাই নিজেদের ওপর হামলা করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। রবিবার গোপীবাগে সংঘর্ষের সময় নিজের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাপস বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি জনগণ ভোটের মাধ্যমে বিএনপির প্রার্থীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাব দেবে।
×