ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ;###;হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট খোলার নির্দেশ;###;মুন্সীগঞ্জে দুজনের মৃত্যুতে শঙ্কা

দেশে যেন না আসে ॥ চীনের উহান থেকে করোনা ভাইরাস

প্রকাশিত: ১১:০১, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

দেশে যেন না আসে ॥ চীনের উহান থেকে করোনা ভাইরাস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া নোভেল করোনা ভাইরাস কোনভাবেই যেন বাংলাদেশে আসতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে চীন হয়ে যারা আসছেন, তাদেরও বিশেষভাবে দেখাশোনা করতে হবে। এয়ারপোর্ট এবং পোর্টে স্পেশাল কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে আমাদের মধ্যে বিস্তার ঘটতে না পারে। চীন বা হংকং থেকে যেসব প্লেন আসবে সেগুলোতে বিশেষ নজর রাখতে হবে। চীনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয় এমন পোর্টে বিশেষ নজর রাখতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সারাদেশের সরকারী হাসপাতালে অবিলম্বে ‘আইসোলেশন ইউনিট’ খোলার নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সোমবার অধিদফতরের সব বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে করোনাভাইরাস নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স চলাকালে এ নির্দেশ দেন প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। আপাতত দেশের আটটি বিভাগের সকল জেলাসদর ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ ইউনিট খোলা হবে। একইসঙ্গে দেশের সব স্থল ও নৌবন্দরে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সতর্ক দৃষ্টি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এদিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে একই পরিবারের দু’জনের মৃত্যুতে করোনা ভাইরাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এজন্য গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার দল গঠন করা হয়েছে। ইতোপূর্বে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গ্রহণ করা হয়েছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, এখনও পর্যন্ত দেশে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া না গেলেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। গত কযয়েকদিন ধরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে স্ক্যানার মেশিন দিয়ে চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থলবন্দরে আপাতত বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের হেলথ কার্ডের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ এবং ও থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মেপে মনিটরিং করা হবে। কনফারেন্সে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালক ও রোগতত্ত্ববিদ অধ্যাপক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, সোমবার সকাল পর্যন্ত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানার মেশিন ও হ্যান্ড স্ক্যানিং মেশিনের মাধ্যমে দুই হাজার ৪৭০ জন যাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত দেশে কোন করোনাভাইরাস রোগী পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, হেলথ কার্ডের মাধ্যমে আগত যাত্রীদের তথ্য-উপাত্ত রাখা হচ্ছে। কোন যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তার এ রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। দুই থেকে ১৪ দিনের মধ্যে রোগী দেখা দিতে পারে। এ কারণে যাত্রীদের বলা হচ্ছে এ সময়ের মধ্যে যদি কেউ অসুস্থতা অনুভব করে তাহলে যেন আইডিসিআরে যোগাযোগ করে। উল্লেখ্য চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে ৮০ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া আরও দুই হাজার ৭৪৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। চীনের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত তিন শতাধিক মানুষ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। চীনের হুবেই প্রদেশে ৫০ হাজারের বেশি মেডিক্যাল স্টাফ এই ভাইরাস প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ এবং চিকিৎসায় অংশ নিয়েছেন। মুন্সীগঞ্জ দু’জনের মৃত্যুতে সন্দেহ মুন্সীগঞ্জ থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার জানান, লৌহজংয়ের মাওয়া সংলগ্ন জসলদিয়া গ্রামের মাত্র ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে চাচি-ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর আগের লক্ষণে পরিবারের আশঙ্কা করোনাভাইরাসে তাদের মৃত্যু হয়েছে। মেডিক্যাল টিম, প্রশাসন, ডব্লিউএইচও প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে সিভিল ডাঃ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি করোনাভাইরাসজনিত ঘটনা নয়। তবে মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, করোনা ভাইরাসের লক্ষণের সঙ্গে এর মিল পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। প্রশাসন এবং সিভিল সার্জন মিলে এই বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকার জন্য আমরা উদ্বুদ্ধ করছি। রবিবার রাত ২টায় লৌহজংয়ের জসলদিয়া গ্রামের মীর সোহেলের মেজ ছেলে মীর আব্দুর রহমান (৩) হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে মারা যায়। এর আগে রবিবার সকাল ৮টায় তার চাচি মীর জুয়েলের স্ত্রী শামীমা বেগম (৩৪) একইভাবে মারা যান। শামীমা বেগমের দেবর মীর শিবলু জানান, তার ভাবি সোমবার সকালে জ্বর জ্বর অনুভব করেন। আস্তে আস্তে জ্বর কিছুটা বেড়ে যায়। একই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশে চাক চাক রক্তের দাগ দেখা যায়। মাত্র ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। এর পর রবিবার রাতে তার ভাই মীর সোহেলের ছেলে আব্দুল রহমান (৩) এমনভাবে জ্বর জ্বর অনুভব করে মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মারা যায়। তার শরীরেও রক্তের থোবা থোবা দাগ দেখা যায়। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জানানো হয়েছে। শামীমা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে শিশু রহমানের দাফন এখনও সম্পন্ন হয়নি। তার মৃতদেহটি চিকিৎসকরা দেখছেন। মীর শিবলু জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্প কাছাকাছি। এছাড়া জসলদিয়া গ্রামেই জসলদিয়া পানি শোষনাগার প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলোতে চিনা নাগরিক রয়েছে। আশপাশেও চীনা নাগরিকদের বসবাস ও বিচরণ রয়েছে। তাই তিনি আশঙ্কা করছেন করোনাভাইরাসের কারণেও মৃত্যু হতে পারে। তবে বাংলাদেশে এখনও এই করোনাভাইরাসে কেউ মারা যাননি। সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটা করোনাভাইরাস নয়। চীনে এই রোগ দেখা দেয়ার পর থেকে যেসব চীনা নাগরিক বিমানে করে বাংলাদেশে এসেছে বিমানবন্দরে তাদের আলাদা করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কারো এ ধরনের রোগ থাকলে তাকে দেশে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এ পরিবারটির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ পরিবারের কেউ গত ১৪ দিনের মধ্যে বিদেশ যায়নি বা বিদেশ থেকে ফেরত আসেনি। সুতরাং প্রথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এ মৃত্যু করোনাভাইরাসের জন্য নয়। এছাড়া নিপা ভাইরাসও নয় এই কারণে পরিবারের কেউ এরই মধ্যে খেজুরের রস খায়নি। তবে কি কারণে জ্বর হয়ে এত অল্প সময়ের মধ্যে মারা গেল, তা নিশ্চিত হতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন কনসালেটেন্ট। বাকি দুই সদস্য হচ্ছেন একজন শিশু বিশেষজ্ঞ এবং সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার। লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ কামরুল হাসান পাটোয়ারী ঘটনাস্থল ঘুরে এসে বলেন, প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এসব তথ্য উপাত্ত আন্তর্জাতিক লোক গবেষণা কেন্দ্রেও (আইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শামীম আহমেদ জানান, বিষয় আমরা অবগত হয়েছি। সেখানে একটি টিম ঘুরে এসেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলা যাবে এটি করোনাভাইরাস কি না। এ বিষয়ে কাজ চলছে। লৌহজং উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. রাশেদুজ্জামান ঘটনাস্থল থেকে বলেন, এখানে চিকিৎসক এসেছেন, খোঁজ খবর করা হচ্ছে। ডাঃ কামরুল হাসান পাটোয়ারী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। ইউএনও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে অন্য কোন কারণে মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাসের মতো সিমটম নয়।’ জসলদিয়ায় আইইডিসিআর টিম মুন্সীগঞ্জের জসলদিয়ায় আকস্মিক জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় আইইডিসিআরের একটি টিম সোমবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) টিমটি এই সময় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কেও অবহিত হন। বেশ কিছু সময় তারা অবস্থান করে। পরে দলটি ঘটনাস্থলের পাশের বাড়িতে জ্বরে আক্রান্ত এক শিশুকে পরীক্ষা করেন। শিশুটির নাক ও গলার লালা এবং রক্ত সংগ্রহ করে। ডাঃ সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দলটি রাত ১০টার দিকে মহাখালীর আইইডিসিআর’র উদ্দেশে রওনা হন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই নমুনা ঢাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এছাড়া আইইডিসিআর থেকে আবারও বিশেষজ্ঞ দলের জসলদিয়ায় আসার কথা রয়েছে। এসব বিষয়ে ঘটনাস্থলে আসা গবেষক ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন কিছু মন্তব্য করতে রাজি হননি। তথ্য-উপাত্ত ও নমুনা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সঠিক কারণ উদঘাটন সম্ভব হবে। টিমের একটি সূত্র জানায়, সব কিছু মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি করোনা ভাইরাস নয়। চুয়াডাঙ্গা ॥ চুয়াডাঙ্গা থেকে আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার দল গঠন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ শাকিল আরসালানকে প্রধান করে গঠন করা ৬ সদস্য বিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য পরীক্ষার দলটি সোমবার সকাল থেকে কাজ শুরু করেছে। তারা চেকপোস্ট দিয়ে আসা ও যাওয়া যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে। চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় রয়েছে আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন ও জয়নগরে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় দেড় হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করে। ভারত থেকে আসা দুই দেশের যাত্রী বলেন, করোনাভাইরাস বিষয়ে ভারতের চেকপোস্টে কোন নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু বাংলাদেশে প্রবেশের পর সেটা করা হচ্ছে। আর স্বাস্থ্যও পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা দলের প্রধান ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ শাকিল আরসানাল বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এখানে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আমরা দুদেশের যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। কোন রোগীর সন্ধান পেলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন এএসএম মারুফ হাসান বলেন, সড়ক ও রেলপথে দুই দেশের যাত্রীরা বাংলাদেশ ও ভারতে আসা যাওয়া করে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার দল গঠন করা হয়েছে। তবে আমাদের দেশে এ ভাইরাস আসার সম্ভাবনা খুবই কম। পঞ্চগড় ॥ চীনে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সেখানে অবস্থানরত পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার ২৫ জন শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরছেন। এরমধ্যে ৫ জন সোমবার চীনের গুয়াংঝু বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এরা হলেন- পঞ্চগড় সদরের শুভ প্রধান, বোদা উপজেলার নওশাদ ও আরাফাত, দেবীগঞ্জ উপজেলার মেহেদী এবং ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার মুরাদ। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় ও পার্শ্ববর্তী ঠাকুরগাঁও জেলার কমপক্ষে ২৫ জন শিক্ষার্থী চীনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য সেখানে অবস্থান করছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ করোনা ভাইরাসবাহী সন্দেহে শওকত আহমেদ নামে এক বাংলাদেশী যাত্রীকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। সোমবার সকালে জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় আগরতলা ইমিগ্রেশন তাকে ফেরত পাঠায়। দুই মাস আগে চীন সফর করার কারণে শওকতকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে জানানো হয়। তিনি ফেনী জেলার সাহেবপুর এলাকার সৈয়দ আহমেদের ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আবদুল হামিদ জানান, সোমবার শওকত আহমেদকে যাবতীয় পরীক্ষা শেষে ভারত ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হয়। তবে তার শরীরে করোনা ভাইরাস রয়েছে এমন কোন পরীক্ষা বা প্রমাণ ছাড়াই আগরতলা ইমিগ্রেশন তাকে ফেরত পাঠিয়েছে। বিষয়টি আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরেও করোনা ভাইরাসবাহী শনাক্তে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে সিভিল সার্জন অফিস।
×