ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১০:২৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২০

  উবাচ

যত্রতত্র পোস্টার নয়! স্টাফ রিপার্টার ॥ যত্রতত্র পোস্টার লাগিয়ে ভোট করছেন সিটি নির্বাচনের প্রার্থিরা। রাজধানী ঢাকা এখন পোস্টারের নগরী। পোস্টার ঢাকা রাস্তায় সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারছে না। যত্রতত্র পোস্টার লাগিয়ে যেভাবে নগরের সৌন্দর্য বিনষ্ট করা হয় ভোটের পোস্টার সেভাবে লাগানো হয় না। মাথার উপর কিছুদিনের জন্য ঝুলিয়ে দেয়া হয়। তবে এই শহরে ভোট ছাড়াও হাজার রকম পোস্টার লাগানো হয়। শিক্ষক দিচ্ছি নিচ্ছি থেকে শুরু করে সিনেমা, নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন, ফকির বাবা, নেতাদের শুভেচ্ছা, নুন ঝালের প্রচারসহ হরেক রকমের লাখ লাখ পোস্টার লাগানো হয়। যেসব পোস্টার রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে নগর সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এখানে বাস্তব কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। অবশ্য উত্তর সিটির আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, তিনি নির্বাচিত হতে পারলে আর যত্রতত্র পোস্টার লাগাতে দেবেন না। প্রসঙ্গত তিনি ঢাকা উত্তর সিটিতেই মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন কেন এই বোধ জাগ্রত হয়নি। ইভিএফ স্টাফ রিপের্টার ॥ ইভিএমের (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) নতুন সংজ্ঞা দিয়েছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া। তিনি ইভিএমের ব্যাখ্যায় বলেছেন, ইভিএম হলো আসলে ইলেক্ট্রনিক ভোট ফ্রড (ইভিএফ)। এখন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে দুইভাগে বিভক্ত জাতি। একপক্ষ বলছে ইভিএম’এ ভোট হওয়াই ভাল আরেক পক্ষ বলছে ইভিএম’এ কোনভাবেই ভোট করা যাবে না। বাংলাদেশের নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সমালোচনা করে রেজা কিবরিয়া বলেন, ইভিএম কোন সৎ উদ্দেশ্যে করা হয়নি। দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন করা হচ্ছে। ভোট নিয়ে মানুষের মনে বিন্দুমাত্র আপত্তি বা সন্দেহ থাকলে সেটি কাগজে চেক করার সুযোগ থাকে। কিন্তু ইভিএমে চেক করার কিছু নেই, যা হওয়ার হয়ে গেছে- এখন এটি আপনাদের মেনে নিতে হবে। এটি গণতন্ত্র হতে পারে না। ভারত যদি গণতন্ত্রের সব থেকে বড় উদাহরণ হয় তাহলে সেখানেতো ইভিএম এ ভোট হয়েছে। তাদের কারও আপত্তিও নেই। তাহলে এখানে এত আপত্তি কেন। হাত কেটে দেবেন! স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেছেন এবার আপনাদের ভোট দিতে আসতেই হবে। আপনার ভোটাধিকার আপনাকেই রক্ষা করতে হবে। আর কেউ ভোট ডাকাতি করতে এলে হাত কেটে দেবেন। তাহলে কি হলো। এখন জনগণ যদি প্রশ্ন করেন আমার ভোট আমাকেই হাত কাটাকাটি করে দিয়ে আসতে হবে আর ওরা সেই ভোটে নেতা হবেন তাতে আমার কি লাভ! বিগত জাতীয় নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেছিলেন প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রর বাইরে ২০০ নেতাকর্মী প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবে। কিন্তু ভোট কেন্দ্রের আশপাশেতো দূরের কথা এর এক হাজার দুই হাজার মিটারের মধ্যেও ঐক্যফ্রন্টের কাউকে চোখে পড়েনি। যারা ভোটের দিন নিজের চেহারাও সাধারণ মানুষকে দেখাতে পরেন না তাদের কেন ভোট দিতে হবে। এই প্রশ্ন করলে আব্দুর রব কি উত্তর দেবেন।
×