ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এবার বাড়ছে চালের দাম, কারসাজির আশঙ্কা

প্রকাশিত: ১০:৪০, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

  এবার বাড়ছে চালের দাম, কারসাজির আশঙ্কা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এবার বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের চালের দাম। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সরু চাল মিনিকেট ও নাজিরশাইলের। জাত ও মানভেদে প্রতি কেজি সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা ৪২-৫০ টাকায় এবং মোটা স্বর্ণা ও ইরি চাল ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। আমনের বাম্পার ফলনের পরও দাম বৃদ্ধির জন্য মিলমালিক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজি থাকতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ কোন কারণ বা অজুহাত ছাড়া মিলগেটে বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ২শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন এক সপ্তাহ ধরে বাড়তি দাম রাখছেন মিল মালিকরা। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারে। এদিকে রাষ্ট্রীয় বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবির তথ্যমতে, এক মাস ধরে চালের দাম কিছুটা বাড়তির দিকে রয়েছে। মোটা ছাড়া বেশির ভাগ চালে আড়াই থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে বলে মনে করে টিসিবি। সংস্থাটির সর্বশেষ তথ্যমতে, সাধারণ মানের নাজির ও মিনিকেট ৫০-৫২, উত্তম মানের নাজির ও মিনিকেট ৫৫-৬০, চাল মাঝারি ৪২-৫০, পাইজাম ও লতা সাধারণ মানের ৪২-৪৫, পাইজাম ও লতা উত্তম মানের ৪৬-৫০ এবং স্বর্ণা ও চায়না ইরিখ্যাত মোটা চাল ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরায় বস্তাপ্রতি চালের দর বেড়েছে ২শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত। তিনদিন আগে খুচরা বাজারে প্রতিবস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ২২শ’ টাকা, আটাশ চাল ১৭শ’ টাকা, বিভিন্ন প্রকার নাজির চাল প্রতিবস্তা ২১শ’ থেকে ২৮শ; টাকায়। বর্তমানে রাজধানীর বাজারে প্রতিবস্তা মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ২৪শ’ ৫০ টাকা, মিনিকেট (পুরনো) ২৫শ’ থেকে ২৫শ’ ৫০ টাকা, আটাশ চাল ১৮শ’ ৫০ টাকা, বিভিন্ন প্রকার নাজির চাল প্রতিবস্তা বিক্রি হচ্ছে ২২শ’ ৫০ থেকে ৩ হাজার টাকায়। মিলগেট ও পাইকারি বাজারে কমলে খুচরায় দাম হ্রাস পাবে বলে মনে করেন বিক্রেতারা। এ প্রসঙ্গে কাপ্তান বাজারের চাল বিক্রেতা মোঃ নুরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, চালের দাম বেড়েছে। মিলমালিকরা দাম বাড়িয়ে দেয়ার কারণে পাইকারিতে দাম বাড়ছে। আর এ কারণেই খুচরা বিক্রেতাদের বেশি দাম দিয়ে চাল কিনতে হচ্ছে।
×