ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইসিকে ফখরুল

নির্বাচন পিছিয়ে হলেও ইভিএম বাদ দিয়ে ব্যালটে ভোট নিন

প্রকাশিত: ১০:১৩, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

  নির্বাচন পিছিয়ে  হলেও ইভিএম  বাদ দিয়ে ব্যালটে  ভোট নিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রয়োজনে নির্বাচন পিছিয়ে হলেও ইভিএম বাদ দিয়ে ব্যালটে ভোট নিন। বুধবার সন্ধ্যায় গুলশানের হোটেল লেকশোরে এ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স (এ্যাব) আয়োজিত ‘ইভিএমকে না বলুন, আপনার ভোট সুরক্ষিত করুন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন। ফখরুল বলেন, দেশে একজন ব্যক্তির জন্য যে বিচার আরেক ব্যক্তির জন্য সেরকম বিচার নেই। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় দুই বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে। যে জামিন তিনি পাওয়ার যোগ্য, যেটা আমার সংবিধানের মধ্যে আছে সেই জামিনও তাকে দেয়া হচ্ছে না শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। নাজমুল হুদা জামিন পেয়েছেন, মহিউদ্দীন খান আলমগীর জামিন পেয়েছেন, মোফাজ্জল হোসেন মায়া জামিন পেয়েছেন। এরকম অনেকে জামিন পেয়েছেন। অথচ খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। সম্পূর্ণভাবে আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ফখরুল বলেন, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। আসছে ১ ফেব্রুয়ারি যে পদ্ধতিতে ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তাতে নগরবাসীর ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হবে। আমরা তীব্রভাবে আপত্তি জানিয়েছি। এখনও বলছি, এই ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখুন এবং প্রয়োজনে ভোট পিছিয়ে দিয়ে ব্যালটে ভোট নেয়ার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় এদেশের মানুষ আপনাদেরকে ক্ষমা করবে না। ইভিএমের বিরুদ্ধে জনমত তৈরির আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, আসুন, আজকে সবাই জনগণের কাছে বলি। অত্যন্ত জোরে তাদের ভয়েস, তাদের কণ্ঠকে সোচ্চার করুন যে, আমরা ইভিএম মানি না। ইভিএম কখনই জনগণের সঠিক রায়ের প্রতিফলন ঘটাবে না। তাই আমরা এই ইভিএম প্রত্যাখ্যান করছি। তিনি বলেন, মেশিন ব্যবহৃত হয় মানুষের দ্বারা। মেশিনের পেছনের কারা থাকবেন সেটা একটা জরুরী প্রশ্ন। যেহেতু এই মেশিনের পেছনে বর্তমান নির্বাচন কমিশন আছেন এবং এই সরকার রয়েছে যারা পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে পরিচালনা করছে তাদের উপরে মানুষের কোন আস্থা নেই। তিনি বলেন, এবারকার দুই সিটি কর্পোরেশনের পুরো নির্বাচনটা ইভিএম দ্বারা ভোট গ্রহণ করা হবে। আমরা প্রথম থেকে এর আপত্তি জানিয়ে আসছি। নির্বাচন কমিশনেও আমাদের ডেলিগেশন গিয়েছিল তারা গিয়ে আপত্তি জানিয়ে এসেছেন। ফখরুল বলেন, নির্বাচনটা কেন? নির্বাচনের মূল কারণটি হচ্ছে, একটা প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠনের জন্য। সেটা জাতীয় সরকারও হতে পারে, স্থানীয় সরকারও হতে পারে। এই নির্বাচন কমিশন যোগ্য নয়, অদক্ষ। বর্তমানে যে অনির্বাচিত সরকার রয়েছে তাদের আজ্ঞাবহ একটি কমিশন। তারা যে হুকুম করে কমিশন তাই করে। বিগত নির্বাচনে আমরা পুরোটাই দেখেছি তারা সরকারের পরিচালিত হয়ে নির্বাচন করছে। যেটা জনগণের যে মতামত তার বিরুদ্ধে গেল। ৩০ ডিসেম্বর ভোট তারা ২৯ তারিখে করে ফেলেছে। তাই এই কমিশনকে বিশ্বাস করার আর কোন কারণ থাকতে পারে না।
×