ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

১৩ দেশে ১৫০ কন্টেনার প্লাস্টিক বর্জ্য ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ২১ জানুয়ারি ২০২০

 ১৩ দেশে ১৫০  কন্টেনার  প্লাস্টিক বর্জ্য  ফেরত পাঠাল  মালয়েশিয়া

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধভাবে আমদানি হওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য পুনরায় সেসব দেশে ফেরত পাঠানোর ঘোষণার পর ১৫০ কন্টেনারে করে ৩ হাজার ৭৩৭ মেট্রিক টন বর্জ্য ১৩টি দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। গতবছরের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত এসব প্লাস্টিক বর্জ্য ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ কন্টেনার বর্জ্য গেছে ফ্রান্সে, ৪২ কন্টেনার যুক্তরাজ্যে, ১৭ কন্টেনার যুক্তরাষ্ট্রে, ১১টি কানাডায়, ১০টি স্পেনে এবং বাদবাকি বর্জ্য হংকং, জাপান, সিঙ্গাপুর, পর্তুগাল, চীন, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং লিথুনিয়ায় গেছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার পরিবেশমন্ত্রী। রয়টার্স। মালয়েশিয়া ‘বিশ্বের ময়লার ভাগাড়’ হবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন মন্ত্রী ইয়েও বে ইন। এ বছরের মাঝামাঝিতে আরও ১১০ কন্টেনার বর্জ্য ফেরত পাঠানো হবে এবং এর মধ্যে ৬০টি কন্টেনার যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। স্কাই নিউজ জানিয়েছে, চীন প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ করার পর ২০১৮ সাল থেকে মালয়েশিয়া হয়ে ওঠে এসব বর্জ্যরে অন্যতম ঠিকানা। লাইসেন্স ছাড়াই দেশটিতে গজিয়ে ওঠে প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের (পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা) বেশকিছু কারখানা। এরপর মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ এসব বর্জ্য রফতানিতে জড়িত দেশগুলোকে চিহ্নিত করে এবং গতবছর হাজার হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য ফের সেইসব দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে ঘোষণা দেয়। সে সময় ভর্ৎসনার সুরে পরিবেশমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘যে কোন উন্নত দেশের নাগরিকদের মতো মালয়েশিয়ার নাগরিকদেরও টেকসই সম্পদ, বিশুদ্ধ পানি, বাতাস ও পরিবেশের অধিকার আছে।’ মালয়েশিয়া বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বর্জ্য চোরাচালান রোধ করা এবং ২শ’টি প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইক্লিং কারখানা বন্ধের পদক্ষেপও এরই মধ্যে নিয়েছে। তাছাড়া, যেসব বর্জ্য ফেরত দেয়া হয়েছে সেগুলো রফতানি ও আমদানিকারকদের অর্থায়নেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। মালয়েশিয়া সরকার বর্জ্য পাঠানোর জন্য একটি পয়সাও খরচ করেনি এবং করবেও না বলে জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী। মালয়েশিয়ায় কোন বর্জ্য রফতানি করা হলে তা কোনরকম ছাড় না দিয়েই ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
×