ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রায় দ্রুত কার্যকর চায় সিপিবি মোক্তারের পরিবার

প্রকাশিত: ১০:৩২, ২১ জানুয়ারি ২০২০

 রায় দ্রুত কার্যকর চায় সিপিবি মোক্তারের পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২০ জানুয়ারি ॥ রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলায় নিহতের ঘটনায় ১০ জনকে মৃত্যুদন্ড এবং দু’জনকে খালাস দিয়েছে আদালত। এই ঘটনায় নিহত হন মাদারীপুর সদরের খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের সিপিবি কর্মী মোক্তার হোসেন বেপারী। মৃত্যুদন্ডের আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে মোক্তারের পরিবার। পরিবারের দাবি- রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়। জানা গেছে, সোমবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে ১০ জনকে মৃত্যুদন্ড এবং দু’জনকে খালাস দিয়েছে আদালত। মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টনে সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলায় নিহত হন মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের কলম আলী বেপারীর ছেলে সিপিবি কর্মী মোক্তার হোসেন বেপারীসহ পাঁচজন ও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। রায়ের খবরে নিহত মোক্তারের পরিবারে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তার স্ত্রী নাসিমা বেগম নির্বাক হয়ে যান এবং কারও সঙ্গে কথা বলেননি। এ সময় নিহত মোক্তারের ভাই ডাঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আমার ভাইকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা হত্যা করেছে তাদের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে বলে শুনেছি। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। তবে আমরা চাই রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। কোন অজুহাতে যেন দোষীরা পার পেয়ে না যায়।’ নিহতের ছেলে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা নিহতের সময় আমি ও আমার বোন খুব ছোট ছিলাম। বাবার আদর মমতা কিছুই পাইনি। সন্ত্রাসীদের কারণে বাবার আদর ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। যারা আমাদের বাবার আদর থেকে বঞ্চিত করেছে তাদের দ্রুত শাস্তি কার্যকর করা হোক এটাই চাই।’ সিপিবি মাদারীপুর সদর উপজেলা সম্পাদক আলাউদ্দিন এলিন বলেন, ‘রাজধানীর পল্টনে সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলায় নিহত মোক্তার হোসেন বেপারী ছিলেন দলের একজন নিবেদিত কর্মী। তিনি মূলত ঢাকায় থাকতেন। তিনি যখন নিহত হন তখন তার বয়স ছিল ৪০ বছরের মতো। স্ত্রী নাসিমা বেগম, মেয়ে মনি আক্তার ও ছেলে তরিকুল ইসলামকে নিয়ে ছিল তার সুখের সংসার। বোমা হামলার সময় মেয়ের বয়স চার ও ছেলের বয়স ছিল দুই বছর। বাবার আদর তারা পায়নি। দীর্ঘদিন পরে হলেও এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। আমরা দ্রুত এ রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।’
×