ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিদ্যুত বিতরণ কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ

বড় গ্রাহকদের নিয়ন্ত্রণে এএমআর প্রযুক্তিতে আগ্রহ নেই

প্রকাশিত: ১০:২৫, ২১ জানুয়ারি ২০২০

  বড় গ্রাহকদের নিয়ন্ত্রণে এএমআর প্রযুক্তিতে আগ্রহ নেই

রশিদ মামুন ॥ বড় গ্রাহকদের পর্যবেক্ষণে অটোমেটিক মিটার রিডিং বা এএমআর প্রযুক্তি স্থাপনে বিদ্যুত বিতরণ কোম্পানির আগ্রহ না থাকার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সূত্র বলছে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে এএমআর স্থাপনের জন্য নির্দেশনা থাকলেও কোন বিতরণ কোম্পানিই এতে আগ্রহী নয়। বড় গ্রাহকদের নিয়ন্ত্রণে আগ্রহী না হলেও ছোট ছোট গ্রাহকদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বিতরণ কোম্পানি। বিইআরসি সূত্রমতে, দেশে মোট গ্রাহকের মধ্যে এএমআর প্রযুক্তি প্রয়োজন মাত্র ৩০ হাজার গ্রাহকের জন্য। যারা মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৩৫ ভাগ ব্যবহার করে থাকেন। বলা হচ্ছে অটোমেটিক মিটার রিডিং একটি সেন্ট্রাল সার্ভার। যেখানে বসে বিতরণ কোম্পানি বড় গ্রাহকদের বিদ্যুত বিতরণ পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। কোন কারণে গ্রাহকের বিদ্যুত ব্যবহার অস্বাভাবিক হারে কমে বা বেড়ে গেলে তা বিতরণ কোম্পানি দেখতে পারবে। বলা হচ্ছে দেশের বড় শিল্প গ্রাহকরাই এএমআর এর আওতাভুক্ত হবেন। এক্ষেত্রে বিদ্যুত চুরি বা অপব্যবহার কমবে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সময় বিতরণ কোম্পানিগুলোকে বিইআরসি কিছু বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে থাকে। এই নির্দেশনা কতটা বাস্তবায়ন হলো তা সময়ে সময়ে বিতরণ কোম্পানির তরফ থেকে বিইআরসিকে জানানোর বিধান রয়েছে। কিন্তু বিতরণ কোম্পানি দাম বৃদ্ধির পর আর এসব বিষয়ে কমিশনকে কিছু অবহিত করে না বলে অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যুত বিতরণে ছোট গ্রাহক যারা সারা মাসে কয়েক শ’ ইউনিট ব্যবহার করেন তাদের নিয়ন্ত্রণে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করছে। কিন্তু যারা প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মেগাওয়াট লোডে বিদ্যুত ব্যবহার করছেন তাদের নিয়ন্ত্রণে এএমআর ব্যবহারে আগ্রহ নেই। বলা হচ্ছে খুব কম বিদ্যুত ব্যবহার করেন এমন গ্রাহকদের নিয়ন্ত্রণে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার দেয়া হচ্ছে। এই প্রিপেইড মিটারের আবার প্রতিমাসে ভাড়াও আদায় করা হয়। অভিযোগ রয়েছে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুত ব্যবহার করেন এমন দেড় কোটি গ্রাহককে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিলেও একই ব্যবস্থা বড় গ্রাহকদের ক্ষেত্রে করার উদ্যোগ নেই। কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে (ওজোপাডিকো) বলেছিলাম আপনাদের মাত্র এক হাজার ১০০ এএমআর গ্রাহক। তাদের নিয়ন্ত্রণে এএমআর ব্যবহারের কথা বলেছিলাম কিন্তু তারা এতেও আগ্রহী নয়। আমরা মনে করেছিলাম এখান থেকে যদি শুরু করা যেত তাহলেও অন্যদের জন্য বিষয়টি অনুসরণীয় হতো। কিন্তু তারাও এতে রাজি হচ্ছে না। এ বিষয়ে জানার জন্য ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
×