ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গণমাধ্যম কর্মী আইন চূড়ান্তকরণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে : সংসদে তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২০ জানুয়ারি ২০২০

গণমাধ্যম কর্মী আইন চূড়ান্তকরণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে : সংসদে তথ্যমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও ইলেকট্টনিক মিডিয়ায় স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সরকার কোনো রকম হস্তক্ষেপ করছে না। বর্তমান সরকারের সময় সংবাদপত্র ও ইলেকট্টনিক মিডিয়া অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে। ইতোমধ্যে নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা হয়েছে। গণমাধ্যম কর্মী আইন চূড়ান্তকরণের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, দেশের জাতীয় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদে জাতীয় তথ্য বাতায়ন এবং ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু করে তথ্য সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নেওয়া হয়েছে। সরকার জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। গণমাধ্যম বান্ধব সরকারের উদার সম্প্রচার নীতিমালার কারণে বর্তমানে বেসরকারি খাতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩৩টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী জানান, অনলাইন গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন জমা পড়েছে। সম্প্রচার ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নীতিমালা ইতোমধ্যে প্রণীত হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী কার্যক্রম বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তিনি জানান, অনলাইন গণমাধ্যম রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন জমাদান ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস হতে শুরু হয়েছে। এই পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯৭টি রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেছে। প্রাপ্ত আবেদনপত্রসমূহ যাচাই-বাছাই করে তালিকাসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রেরণ কর হয়েছে। ড. হাছান মাহমুদ আরও জানান, জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রণীত তথ্য অধিকার আইন বলবত রয়েছে এবং জনগণ এর সুফল ভোগ করছে। সংবাদপত্রের ও সাংবাদিকদের মানোন্নয়নের জন্য পিআইবি, গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে সারা বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। ইলেকট্টনিক মিডিয়ার উন্নয়নের জন্য আলাদাভাবে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, সকল সংবাদপত্রের গণমাধ্যমকর্মীর শতকরা ৪৫ ভাগ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সরকার ইতোমধ্যে নবম ওয়েজবোর্ডের গেজেট প্রকাশ করেছে। এছাড়া ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন ব্যতিত পত্রিকাসমূহের ওয়েজবোর্ডপ্রাপ্তদের সমান হারে বিজ্ঞাপন হার প্রদানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সারাদেশের সাংবাদিকতর মানোন্নয়নের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হবে বলে আশা করা যায়।
×