ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্তরসূরিদের সঙ্গে কোনো আপস আওয়ামী লীগ করবে না ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০০:২৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্তরসূরিদের সঙ্গে কোনো আপস আওয়ামী লীগ করবে না ॥ কাদের

অনলাইন রিপোর্টার ॥ স্বাধীনতার অর্ধশতক পরও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়কে সুসংহত করার পথে বাধা হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির উত্তরসূরিদের সঙ্গে কোনো আপস আওয়ামী লীগ করবে না। দলে ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ আগামী সম্মেলনের মাধ্যমে বের করে দেওয়া হবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সরকারের সেতুমন্ত্রী কাদের। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালির মুক্তি এসেছিল অনেক রক্ত ঝরিয়ে, শোষণ-বঞ্চনা আর যন্ত্রণার শেষে লাখো মানুষের আত্মাহুতি ও বাংলা মায়ের আত্মদানের বিনিময়ে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দীর্ঘ নয় মাস তাদের স্থানীয় দোসর জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস ও শান্তি কমিটির সহায়তায় বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করে, দুই লাখ মা-বোনের সন্ত্রমহানি করে। সরকারের হাতে থাকা নথির তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সরকার একাত্তরের সেই স্বাধীনতাবিরোধীদের মধ্যে ১০ হাজার ৭৮৯ জনের প্রথম তালিকা বুধবার প্রকাশ করেছে। তবে অনেক স্বাধীনতাবিরোধী ‘আওয়ামী লীগের চারপাশেও’ আছে মন্তব্য করে কলামনিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, তাদের যথাযথভাবে চিহ্নিত করতে না পারলে রাজাকারদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে না। সোমবার বিজয় দিবসের সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মুক্তিযুদ্ধের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সেই দোসর, তাদের প্রেতাত্মারা আজও বাংলার মাটিতে বিজয়কে সুসংহত করার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। “স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এবং তাদের বংশধর, তাদের ব্যাপারে আমাদের কোনো আপস নেই। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, তারাই কেবলমাত্র আওয়ামী লীগ করতে পারবে। দলে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে কেউ থাকলে আগামী সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের ‘বের করে দেওয়া হবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বাংলার জমিনে এই অপশক্তিকে ওঠে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না, বিজয় দিবসে এটিই আমাদের শপথ।”
×