ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার স্বাস্থ্য নিয়ে অসত্য তথ্য দিচ্ছে বিএসএমএমইউ : ড্যাব

প্রকাশিত: ০৮:০৫, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

খালেদার স্বাস্থ্য নিয়ে অসত্য তথ্য দিচ্ছে বিএসএমএমইউ : ড্যাব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বএসএমএমইউ) অসত্য তথ্য দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) । মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।. সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ড্যাব সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ ফরহাদ বলেন, খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তীলে তীলে নিঃশেষ করে দেয়ার অপপ্রয়াসে তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অসত্য সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ইদানিং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা নিয়ে গত বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে অসত্য, বিভ্রান্তিমূলক ও পরষ্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। রিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয় খালেদা জিয়া চরম অসুস্থতায় ভুগছেন। বাস্তবিক অর্থে তিনি ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছেন। এই সময় যথাযথ চিকিৎসা না দিলে তাঁর এই অবস্থা স্থায়ী রূপ নিতে পারে। অথচ বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সরকারের অশুভ ইশারায় জাতিকে বিভ্রান্ত করতে ও খালেদা জিয়ার জামিন ভুন্ডুল করতে সত্য গোপন করছেন। জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টির আগেই খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। তাকে তাঁর প্রাপ্য জামিন দিয়ে মুক্ত পরিবেশে ও তার পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। অন্যথায় চিকিৎসক সমাজ নীরবে বসে থাকবে না। দেশের সকল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন গড়ে তুলবে। ডা. ফরহাদ বলেন, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে নেমে নিজে পায়ে হেটে জেলখানায় প্রবেশ করেন। নিজে হেটে দোতলায় তার নির্ধারিত রূমে যান। এমনকি জেলখানায় থেকে আগেরবার যখন বিএসএমএমইউতে আসেন তখন গাড়ি থেকে নেমে নিজে লিফট পর্যন্ত হেটে যান। সময়ের পরিক্রমায় তিনি কিভাবে আজকের অবস্থায় উপনীত হলেন? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে সঠিক চিকিৎসার অভাবে তিনি ধীরে ধীরে এই অবস্থায় উপনীত হয়েছেন। ডা. ফরহাদ বলেন, খালেদা জিয়ার মতো একজন রোগীর মেডিকেল রিপোর্ট পেশ করতে এত সময় লাগার কারণ নেই। আমাদের জানা মতে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকগণ তাঁর মেডিকেল রিপোর্ট দুইদফা প্রস্তু করে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্যের কাছে জমা দিয়েছেন। কিন্তু অধিকতর পরীক্ষার নামে কালক্ষেপনের মাধ্যমে থাঁকে স্বাস্থ্যঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। যা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি ও মানবাধিকারের চরম লংঘন। এ ছাড়া এটা খালেদা জিয়াকে মৃত্যুঝুঁকির দিকে ধাবিত করার অপকৌশল। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাবের উপদেষ্টা ডা. মো. সহিদুর রহমান, সহ-সভাপতি ডা. হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব ডা. কাজী মাযাহারুল ইসলাম দোলন, ড্যাব বিএসএমএমইউ শাখার সভাপতি ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শহিদুল হক রাহাত, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল প্রমুখ।
×