ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গ্রাহকদের ওপর চাপ বাড়বে

এলপিজির দর বিশ্ববাজারে বেড়েছে ১১ টাকা, দেশে ১২০

প্রকাশিত: ১১:১০, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

এলপিজির দর বিশ্ববাজারে বেড়েছে ১১ টাকা, দেশে ১২০

রশিদ মামুন ॥ আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম বেড়েছে ১১ টাকা আর দেশে বেড়েছে ১২০ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে দর বৃদ্ধির এ সুযোগ নিয়ে দেশের বাজারে এই দর বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন সূত্র জানায়। এতে সাধারণ গ্রাহকদের ওপর চাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দর বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে এই দর বৃদ্ধি বলে এলপিজি ব্যবসায়ীরাও জানিয়েছেন। জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) চেয়ারম্যান ছামসুর রহমনা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন এলপিজিতে ১০ ডলার দাম বেড়েছে। এক টন এলপিজিতে ৮২ বোতল এলপিজি বানানো যায়। সেই হিসেবে এলপিজির বোতল প্রতি দাম বাড়তে পারে দেশের বাজারে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা সেখানে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দাম বেড়েছে। দেশের বাজারের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ করে বেসরকারী এলপিজি উৎপাদনকারীরা। দেশের মোট এলপিজির মাত্র দুই ভাগ জোগান দেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (পিপিসি)। প্রতিদিন চার হাজার বোতল এলপিজি সরবরাহ করা হয় সরকারীভাবে। সরকারীভাবে ইস্টার্ন রিফাইনারি (ইআরএল) এবং দেশের মধ্যে কনডেনসেট প্রক্রিয়া করে এলপিজি সরবরাহ করা হয়। অন্যদিকে বিদেশ থেকে প্রোপেন এবং বিউটেন আমদানি করে বেসরকারী উৎপাদনকারীরা নির্দিষ্ট অনুপাতে বোতলে ভোরে এলপিজি বিক্রি করে থাকে। দেশের বেশিরভাগ এলপিজিই আমদানি করা হয়। বিপিসি সূত্র জানায়, প্রতি টনে ১০ ডলার বৃদ্ধি পেলে এক টনে দাম বৃদ্ধি পায় ৮৫০ টাক। (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। এক টন দিয়ে ৮২ বোতল এলপিজি হলে বোতল প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি পায় ১০ দশমিক ৩৬ টাকা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ১০ বা ১১ টাকার বিপরীতে কতটাকা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক। এখানে ১০ টাকার বিপরীতে আরও ৫০ ভাগ যোগ করে বৃদ্ধি করা হলেও প্রতি বোতলে ১৫ টাকার বেশি বৃদ্ধি কোনভাবেই যৌক্তিক নয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলপিজির দাম নির্ধারণে সরকার নানাভাবে চেষ্টা করলেও বিনিয়োগকারীরা মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের হস্তক্ষেপ মানতে নারাজ। গত দু’বছর ধরেই এলপিজির মূল্য নির্ধারণের একটি ফর্মুলা বা পদ্ধতি নির্ধারণের চেষ্টা করেও জ্বালানি মন্ত্রণালয় ব্যর্থ হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, তারা যে দামে এলপিজি বিক্রি করে তার চেয়ে অনেক বেশি দামে গ্রাহক পর্যায়ে এলপিজি বিক্রি হয়। এটি নিয়ন্ত্রণ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এখানে বেশি কড়াকড়ি করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন তারা। কারণ হিসেবে এক বিনিয়োগকারী বলেন, এখন বাজারে অনেক এলপিজি কোম্পানি রয়েছে। ডিলারদের ওপর কড়াকড়ি করতে গেলে তারা নির্দিষ্ট কোম্পানির এলপিজি বন্ধও করে দিতে পারে এই ভয়ে তাদের ওপর কড়াকড়ি করা যায় না।
×