সংসদ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতি-সন্ত্রাস-মাদক নির্মূলে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, যতদিন ঘুষ-সন্ত্রাস-ক্যাসিনো-মাদকসহ সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে না আসবে, ততদিন চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বৃহস্পতিবার রাতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ডা. রুস্তম আলম ফরাজীর উত্থাপিত জন-গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ বিধি-৭১-এর উপর আনীত নোটিশের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। নোটিশদাতা রুস্তম আলী ফরাজী তাঁর নোটিশে ঘুষ-সন্ত্রাস-ক্যাসিনো (জুয়া) ও মাদকসহ সকল সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান সারাবছর অব্যাহত রাখার দাবী জানান।
জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আমরা জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছিলেন। মানুষ সাড়া দিয়েছে, আমরা সফল হয়েছি। মাদক নির্মুল করতে আমরা কাজ করছি। মাদক নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে আমরা বসে নেই। মাদক আমরা তৈরি করি না। মাদক আসে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে। আমরা ভারত-মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলেছি। ইয়াবা রোধে মিয়ানামরের সঙ্গে তিনদফায় বৈঠক করেছি, চতুর্থ দফায় বৈঠক হবে।
তিনি বলেন, মাদকের সাপ্লাই হ্রাসের জন্য আইন-শৃংখলা রক্ষা বাহিনী সীমান্তে কাজ করছে। সন্ত্রাস দমনে আমরা সন্ত্রাস বিরোধী আইন আপডেট করেছি। ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট নিয়ে কাজ চলছে। গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানোর জন্য গোয়েন্দা সংস্থা আপডেট ও লজিস্টিক সার্পোট বাড়ানো হয়েছে। সিটিটিসি সারাদেশে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। আটটি জঙ্গী সংগঠনকে গেজেট দ্বারা নিষিদ্ধ করেছি। জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রণ করেছি। মাদকও আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।
মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আরও বলেন, দুর্নীতি, ঘুষ, মাদক, ক্যাসিনো সন্ত্রাস সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কাউকে কিন্তু ছাড় দিচ্ছেন না। তিনি সব অপরাধীকেই আইনের মুখোমুখি করার নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা আইনের মুখোমুখি করছি। যে অভিযান চলছে, তা অব্যাহত থাকবে। এটা বন্ধ হবে না। যতদিন এই ঘুষ, সন্ত্রাস, ক্যাসিনো ও মাদকসহ সকল সামাজিক অপরাধ সম্পূর্ণ রুপে নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারবো, ততদিন এই অভিযান চলমান থাকবে।
