ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আদমদীঘিতে শহীদ মিনারের বেহালদশা

প্রকাশিত: ০৫:২২, ৮ নভেম্বর ২০১৯

আদমদীঘিতে শহীদ মিনারের বেহালদশা

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার ॥ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের মুরইল বাজার। সান্তাহার-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের মুরইল বাজারে প্রয়োজনের কারনে সরকারি টাকায় নির্মাণ করা হয় শহীদ মিনার। কিন্তু অযতœ আর অবহেলায় শহীদ মিনারটির হয়েছে বেহাল দশা। ছেঁয়ে গেছে ঘাস আর আগাছায়। চারপাশে থকথকে কাদা আর ড্রেনের নোংরা পানি জমে থাকে সারা বছর। দেখে মনে হয় যেন দেখার কেউ নেই। ওই বাজারের বাসিন্দা গোলাম রব্বানী জানান, গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে প্রায় ১০ বছর পূর্বে সরকারি টাকায় মুরইল কাঁচা বাজার সংলগ্ন ওই স্থানে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ শেষে এটি উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সফল বাণিজ্য মন্ত্রী মরহুম আব্দুল জলিল। প্রথম ২/৩ বছর কিছু লোক এর দেখভাল করে। পরে তাদের আগ্রহে ভাটা পড়লে শহীদ মিনারটির বর্তমান বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। শহীদ মিনারে যাবার রাস্তাও নেই বললেই চলে। কাঁচা বাজারের ময়লা আর্বজনা ও নোংরা পানি শহীদ মিনার চত্বরে এসে জমে থাকে। স্থানীয় ব্যাবসায়ী গোপাল চন্দ্র বলেন, শহীদ মিনার সংলগ্ন একজন সাবেক চেয়ারম্যানসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের একাধিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দেরা বসবাস করেন। কিন্ত এই মহান স্থাপনার প্রতি কারো সুদৃষ্টি নেই। মুরইল বাজার বণিক সভাপতি সিদ্দীকুর রহমান বলেন, এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক সংগঠন গুলো এই শহীদ মিনারে বিভিন্ন দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, কাঁচা বাজার সংলগ্ন ও পানির ড্রেন না থাকায় ওই স্থানে ময়লা আবর্জনা ও পানি জমে। শহীদ মিনার স্থাপনা ও এটির চত্তর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য তিনি নসরতপুর ইউপি আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে একাধিক বার বলেও কোনো ফল হয়নি। ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারন সম্পাদক রেবোতী মহন সাহা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, বছরে তিন বার শহীদ মিনারে যেতে হয় ওই সময়ে পরিস্কার করেই অনুষ্ঠানের ব্যাবস্থা করা হয়। নসরতপুর ইউপি চেয়ারম্যার খন্দকার সামছুল হক বলেন, শহীদ মিনারের এরকম অবস্থার খবর আমাকে কেউ দেননি। তবে খবর পেয়েছি যখন তখন দ্রুত এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
×