ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আগামীকাল মতিঝিল ছাড়ছে ডিএসই

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ২ নভেম্বর ২০১৯

আগামীকাল মতিঝিল ছাড়ছে ডিএসই

অনলাইন রিপোর্টার ॥ দীর্ঘদিনের ঠিকানা মতিঝিল ছেড়ে রবিবার থেকে রাজধানীর নিকুঞ্জে নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু করবে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ইতোমধ্যে মতিঝিলের অফিস থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নকুঞ্জের ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডিএসইর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রটি বলছে, নিকুঞ্জের নিজস্ব ভবনে গেলেও ডিএসইর কয়েকটি বিভাগের কার্যক্রম আরও কিছুদিন মতিঝিলের অফিসে হবে। এর মধ্যে ট্রেনিং ও প্রকাশনা বিভাগ আরও ১৫ দিনের মতো মতিঝিলে থাকবে। আর আইটি বিভাগ এক বছরের মতো মতিঝিলে থাকবে। এই কয়টি বিভাগ ছাড়া বাকিগুলো রবিবার থেকে নিকুঞ্জের নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম চালাবে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালে চার কোটি টাকায় রাজধানীর খিলক্ষেত-নিকুঞ্জ এলাকায় (বিমানবন্দর সড়কের পাশে) চার বিঘা জমি বরাদ্দ পায় ডিএসই। এই জমির ওপরেই ডিএসইর নিজস্ব ১৩ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ডিএসইর ২০১১-২০১২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বহুতল ভবনটির সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় ধরা ছিল ১৩২ কোটি টাকার বেশি। নকশা অনুযায়ী- ভবনের আয়তন ৭ লাখ ৪১ হাজার ১০৯ বর্গফুট। ভূগর্ভস্থ তিনতলা কার পার্কিংয়ের স্থান বাদে মূল ভবন হবে ১৩ তলা। এর প্রথম দুই তলায় ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সাব-স্টেশন, লবি, মিডিয়া সেন্টারসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থাকার কথা রয়েছে। চতুর্থ তলা ডিএসইর অফিসের জন্য বরাদ্দ রাখা। পঞ্চম তলা থেকে ১১ তলায় ব্রোকারেজ হাউস ও শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থাকবে। অডিটরিয়ামের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২ তলার কিছু অংশ ও ১৩ তলা। ভবনে ওঠা-নামায় যাত্রীবাহী লিফটের সঙ্গে থাকবে একটি কার্গো লিফট। ২০০৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ। ওই বছর ২৮ মার্চ ডিএসইর তৎকালীন সভাপতি শাকিল রিজভী আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
×