ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এক রাতেই তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ১৮ অক্টোবর ২০১৯

এক রাতেই তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

অনলাইন রিপোর্টার ॥ দেশের তিন জেলায় এক রাতেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কক্সবাজারে নাফ নদের তীরে বিজিবির গুলিতে নিহত হয়েছেন দুই রোহিঙ্গা ‘মাদক চোরাকারবারি’। আর জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে এক অপহরণ মামলার আসামি এবং ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ডাকাতি মামলার আসামি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- কক্সবাজার টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাদক কারবারি দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। নিহত মাদক কারবারিরা হচ্ছে- উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এ-৩ ব্লকের সোলতান আহমদের পুত্র মো: আবুল হাশেম ও একই ক্যাম্পের সি-১ এর আবু ছিদ্দিকের পুত্র নুর কামাল। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা, ১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও কিরিচ উদ্ধার করেছে বিজিবি। শুক্রবার ভোর রাতে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের লম্বাবিল বরাবর নাফনদীর পাশে এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: ফয়সাল হাসান খান জানান, টেকনাফের হোয়াইক্যং লম্বাবিল নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান আসছে সংবাদ পেয়ে বিজিবির টহলদল ওই স্থানে অবস্থান করে। ইয়াবা চালান নৌকাযোগে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের জল সীমানায় প্রবেশ করছে দেখে বিজিবি জওয়ানরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় তারা বিজিবির ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি বর্ষণ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ৮ থেকে ১০ মিনিট গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে দুই মাদক কারবারিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে পৌঁছার পর ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করে। জয়পুরহাট জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন, যার বিরুদ্ধে মুক্তিপণের জন্য অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে এক ডজন মামলা রয়েছে থানায়। শুক্রবার ভোরে পাঁচবিবি উপজেলার ভুতগাড়ী গ্রামে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে পাঁচবিবি থানার ওসি মনসুর রহমান জানান। নিহত আমিনুল ইসলাম ওরফে ক্যাসেট (৪২) পাঁচবিবি উপজেলার পিয়ারা গ্রামের মৃত শাহাবুল ইসলামের ছেলে। তিনি অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, মাদকের কারবার, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে এক ডজন মামলার পলাতক আসামি বলে ওসি মনসুর রহমান জানান। তিনি বলেন, “ক্যাসেট ও তার দলবল রাতে ভুতগাড়ী গ্রামে জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে পুলিশের একটি টহল দল সেখানে যায়। এ সময় পুলিশের দিকে তারা গুলি করলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় ক্যাসেট গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়, অন্যরা পালিয়ে যায়।” এ অভিযানে দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন এবং তাদের পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। ময়মনসিংহ ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ডাকাতি মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে গফরগাঁও-রসুলপুর আঞ্চলিক সড়কে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে ডিবি পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান। নিহত মোতালেব হোসেন (৪২) গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর ছয়ানি গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। পুলিশ বলছে, মোতালেব একটি ‘ডাকাত দলের সদস্য’ ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগে ৫টি মামলা রয়েছে থানায়। ডিবির ওসি শাহ কামাল বলেন, একদল ডাকাত গফরগাঁও-রসুলপুর সড়কে ‘ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে’ খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের দুটি দল রাতে সেখানে অভিযানে যায়। “পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল গুলি শুরু করে। পুলিশও তখন আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। এ সময় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হয় এবং তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।” গুলিবিদ্ধ মোতালেবকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি। তিনি বলেন, এ অভিযানে আক্রাম হোসেন নামে পুলিশের একজন এসআই আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান ও ১৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।
×