ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কঠোর হোন ॥ উচ্চশিক্ষায় সুশাসন ফেরাতে

প্রকাশিত: ১১:০৬, ১৮ অক্টোবর ২০১৯

কঠোর হোন ॥ উচ্চশিক্ষায় সুশাসন ফেরাতে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে সুশাসন ফেরাতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) আইন প্রয়োগে কঠোর হতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ নির্দেশ দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আপনারা আইনের বাইরে যাবেন না, একেবারে কঠোরভাবে এটা প্রয়োগ করবেন। নতুন আইন করে ইউজিসির ক্ষমতা ও সক্ষমতা আরও বাড়ানোর কথা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বলে তিনি জানান। খবর বিডিনিউজের। ইহসানুল করিম বলেন, আইন শক্তভাবেই অনুসরণ করা হচ্ছে জানিয়ে ‘আইনের বাইরে গেলে কাউকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না’ বলে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার মান নিয়ে প্রশ্ন ছাড়াও শিক্ষকসহ কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনিয়মের সাম্প্রতিক ঘটনা তার নজির। ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ৩০টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে অনিয়মের জন্য নজরদারিতে রাখা হয়েছে। গত আগস্টে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ওসব বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সতর্ক করে ইউজিসি। ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেয়া, উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মানোন্নয়ন, উদ্ভাবনী গবেষণা ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করা ও সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশাসনের উন্নয়ন ঘটানো ইউজিসির দায়িত্ব। এছাড়া উচ্চশিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন ও সে বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেয়ার কাজটি ইউজিসির করার কথা। অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, কমিশন একটি গবেষণা নীতিমালা তৈরি করেছে। শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য তিনি পিএটিসির মতো একটি একাডেমি চান। দেশে সরকারী-বেসরকারী মিলে এখন ১৫৫টির মতো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে উল্লেখ করে ইউজিসি চেয়ারম্যান ইউজিসির জনবল বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান। বৈঠকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, কার্যালয় সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জেনারেল রোসোর সাক্ষাত ॥ এদিকে বাসস জানায়, ইতালির সফররত বিমান বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ্যালবার্টো রোসো বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বিএএফ) সদস্যদের প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে ইতালির বিমান বাহিনীর প্রধান এ প্রস্তাব দেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির বিমান বাহিনীর প্রধানকে তার দেশে ফাইটার হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানের ওপর বিএএফ সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ্যাবার্টো রোসো সম্মতি জানান। জেনারেল রোসো প্রধানমন্ত্রীকে জানান, বাংলাদেশে তার সফর অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ মাহ্ফুজুর রহমান, পিএমও সচিব সাজ্জাদুল হাসান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। শেখ রাসেলের ওপর স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ওপর প্রকাশিত একটি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে তার কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে স্মারক প্রকাশনা ‘হৃদয় মাঝে শেখ রাসেল’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। গ্রন্থটির উপদেষ্টা সম্পাদক এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহ্সান রাসেল এমপি এবং গ্রন্থের সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও প্রকাশক ইয়াসিন কবির জয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহ্সানুল করিম এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক মোঃ নজরুল ইসলাম অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। আগামীকাল শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে জয়ীতা প্রকাশনী সংস্থা শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে গ্রন্থটি প্রকাশ করে। ৯২ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থটিতে প্রায় এক শ’টি ছবি স্থান পেয়েছে। যার অধিকাংশ ছবিই দুর্লভ।
×