ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্রাটের দুই মামলা ডিবি থেকে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর

প্রকাশিত: ০০:৩৮, ১৭ অক্টোবর ২০১৯

সম্রাটের দুই মামলা ডিবি থেকে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর

অনলাইন রিপোর্টার ॥ আলোচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক মামলার তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশের কাছ থেকে দেওয়া হয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হাতে। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, “বুধবার রাতে আমরা মামলা দুটি তদন্ত করার আদেশ পেয়েছি।” সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আলোচনায় ছিলেন যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা সম্রাট। ৭ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। সেদিন বিকালে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানানো হয় র‌্যাবের পক্ষ থেকে। ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেদিনই তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কেরানীগঞ্জের কারাগারে। এরপর ঢাকার রমনা থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে মাদক আইনের মামলায় সম্রাট ও আরমান দুজনকে এবং অস্ত্র মামলায় শুধু সম্রাটকে আসামি করা হয়। এরপর দুই মামলায় সম্রাটকে ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। মামলা দুটির তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশের হাতে দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে সম্রাট কারাগারে ভর্তি হলে রিমান্ড শুনানি বিলম্বিত হয়। হাসপাতাল থেকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার পর মঙ্গলবার সম্রাটকে ঢাকার হাকিম আদালতে রিমান্ড শুনানিতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক দুই মামলায় ৫ দিন করে মোট দশ দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন গোয়েন্দা পুলিশকে।
×