ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতে জবানবন্দী

আবরার হত্যার কথা প্রথম স্বীকার করল বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা ইফতি

প্রকাশিত: ১১:৪০, ১১ অক্টোবর ২০১৯

আবরার হত্যার কথা প্রথম স্বীকার করল বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা ইফতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকা-ে গ্রেফতারকৃত বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকালে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। আসামিদের মধ্যে প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন তিনি। বুয়েটের বায়ো-মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইফতি। পুলিশ জানায়, রিমান্ডে থাকা ইফতি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে রাজি হন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে ঢাকার হাকিম আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের কর্মকর্তা উপ-কমিশনার জাফর হোসেন জানান, দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। জবানবন্দীতে এই আসামি কী বলেছেন, তা আমি বলতে পারব না। কারণ আমি জবানবন্দীটি দেখিনি। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জবানবন্দীটি এনে দিলে আমি সিলগালা করে রেখে দিয়েছি। জবানবন্দী নেয়ার পর বুয়েট ছাত্র ইফতিকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন বিচারক। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, আবরার হত্যাকাণ্ডের পরপরই সোমবার যে ১০ জন গ্রেফতার করা হয়। তার একজন হলেন ইফতি। তাকেসহ ওই ১০ জনকে পাঁচদিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। তার মধ্যে ইফতিই প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিলেন। বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে গত রবিবার রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আবরারের বাবার করা হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এরমধ্যে ইফতিসহ ১২ জন এজাহারভুক্ত আসামি। মামলার আসামিদের মধ্যে সাতজন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক এ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে। রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ।
×