ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কুকের নিউ জিল্যান্ড আবিষ্কারের স্মরণে উদযাপন, হয়েছে বিক্ষোভও

প্রকাশিত: ০০:৪৮, ৮ অক্টোবর ২০১৯

কুকের নিউ জিল্যান্ড আবিষ্কারের স্মরণে উদযাপন, হয়েছে বিক্ষোভও

অনলাইন ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ অভিযাত্রী ক্যাপ্টেন জেমস কুকের নিউ জিল্যান্ডে পা রাখার ২৫০তম বার্ষিকীতে নানা আয়োজনের পাশপাশি হয়েছে বিক্ষোভ। কুকের নিউ জিল্যান্ডে পদার্পণের ২৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার গিসবর্ন উপকূলে জড়ো হওয়া জনতা সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুকের জাহাজের আদলে তৈরি একটি জাহাজ ‘প্রোভার্টি বে (টারাংনুই-আ-কিউই) দিয়ে ভেসে আসতে দেখে। বিবিসি জানায়, জাহাজটি দেখে চিৎকার আর করতালিতে ফেটে পড়ে উপস্থিত জনতা। গিসবর্নের বাসিন্দা ভাল ম্যাকগ্রিভি বলেন, “আমরা এখানে ক্যাপ্টেন জেমস কুক এবং তিনি যা কিছু করেছেন তা উদযাপন করতে এসেছি। তিনি আমাদের ঐতিহ্যের ধারক এবং সেটা নিয়ে আমরা খুবই গর্বিত।” তবে কুকের পদার্পণে স্মরণে শুধু উৎসবই নয় বরং বিক্ষোভও হয়েছে। ম্যারিস লেন্ট নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, “আমাদেরকে এই ট্রমার মধ্যেই বসবাস করতে হয়। একজন মাওরি আদিবাসী হিসেবে বার বার আমাদের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়। যা ভীষণ হতাশার।” প্রথম ইংরেজ হিসেবে ১৭৬৯ সালের ৮ অক্টোবর কুক তার জাহাজ ‘এইচএমএস এনডেভার’ নিয়ে গিসবর্ন উপকূলে পা রাখেন, আবিষ্কার হয় নতুন এক দেশ নিউ জিল্যান্ডের। তার হাত ধরেই ওই অঞ্চলে ঔপনিবেশিক শাসনের সূচনাও হয়। নাবিক ও মানচিত্রবীদ কুক প্রশান্ত মহাসাগর, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানচিত্র তৈরি করেন, যা পশ্চিমাঞ্চলের ভৌগোলিক রহস্য উন্মোচন করে। কুকের নিউ জিল্যান্ড আবিষ্কারের আগে ওই অঞ্চলে শত শত বছর ধরে ‘মাওরি’ জনগোষ্ঠি বসবাস করে আসছিল। স্বাভাবিকভাবেই তাদের জন্য তাই ৮ অক্টোবর উৎসবের দিন নয় বরং পরাধীনতার শেকলে বাঁধা পড়ার সূচনা। কুকের দলের সঙ্গে মাওরিদের প্রথম সাক্ষাতে লড়াইয়ে নয় আদিবাসী নিহত হয়েছিল। ওই ঘটনায় ‘ইউই’ আদিবাসীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে গত সপ্তাহে বিবৃতি দেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার লরা ক্লার্ক। তবে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। ক্যাপ্টেন কুকের প্রশান্ত মহাসাগর অভিযানঃ অষ্টাদশ শতাব্দীতে খুব দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে প্রচলিত গল্পগুলোর একটি ছিল ‘প্রশান্ত মহাসাগরের ওপাড়ে বিশাল আরেকটি মহাদেশ রয়েছে’। যুক্তরাজ্য ক্যাপ্টেন কুককে ওই মহাদেশ আবিষ্কারের দায়িত্ব দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পাঠায়। দলবল নিয়ে বিশাল এক জাহাজে করে পৃথিবী প্রদক্ষিণে বের হন কুক। কিন্তু অনেক ঘুরেও তিনি গল্পের সেই মহাদেশের কোনো চিহ্ন খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন। অবশেষে ১৭৬৯ সালের ৬ অক্টোবর তার কেবিন বয় নিকোলাস ইয়ং সীমাহীন নীল জলরাশির ফাঁকে সবুজের দেখা পায়। দুই দিন পর নর্থ আইল্যান্ডের পূর্ব উপকূলে টুরাংগা-নুই (বর্তমানে গিসবর্ন) এ নামে কুকের দল।
×