নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২২ সেপ্টেম্বর ॥ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্পের গ্রীন আবাসিক পল্লীতে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজের সাতটি গ্রুপের মোট ১৪ ইমারত নির্মাণ কাজ পায় যুবলীগ নেতা ঢাকায় ক্যাসিনো মামলায় গ্রেফতারকৃত গোলাম কিবরিয়া শামীমের ‘জি কে বিল্ডার্স লিমিটেড। এর ছয়টি ২০ তলা ইমারত এবং আটটি ১৬ তলা ইমারত। এসব ইমারতের নির্মাণ কাজ ছাড়াও বিদ্যুতিকরণ এবং গ্যাস লাইন স্থাপনের কাজও করছে জি কে বিল্ডার্স।
মোট ছয় শ’ পাঁচ কোটি টাকার এই কাজে জি কে বিল্ডার্সের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন সাতটি গ্রুপে অংশীদার (যৌথ) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সাজিন এন্টারপ্রাইজ, এমএস সি এল, হাসান এ্যান্ড সন্স লি., পাভেল এবং এইচ এস এল কন্সট্রাকশন।
প্রথম তিনটি গ্রুপের বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ যথাক্রমে এক শ’ ৫২ কোটি টাকা, এক শ’ ৫৩ কোটি টাকা এবং দুই ’শ কোটি টাকা।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের ‘গ্রীন হাউজ প্রকল্প’ যখন শুরু করা হয় তখন থেকেই সুপরিকল্পিতভাবে গণপূর্ত বিভাগের দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীরা কাজ বণ্টনে ব্যাপক কারচুপি বা চাতুরির আশ্রয় নেয়। তাদের পছন্দের ঠিকাদার ব্যতিরেকে অন্য কোন ঠিকাদার যাতে কাজ না পায় তার জন্য নানা শর্ত জুড়ে দেয় টেন্ডারের সময়। পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ প্রদানের সময় তাদের দেয়া ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদপত্র গ্রহণ করা হয়। এসব নিয়ে যখনই সাংবাদিকরা কথা বলতে বা তথ্য সংগ্রহ করতে গেছেন তখনই তাদের বলা হয়েছে, ‘এটি অগ্রাধিকার প্রকল্প, এটি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। সর্বোপরি এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ‘টপ সিক্রেট’ প্রকল্প।’ সবই ছিল গণপূর্ত বিভাগের দুর্নীতিবাজ চক্রের কারসাজি। এই কারসাজির সঙ্গে গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীসহ প্রকল্প পরিচালক এবং সংশ্লিষ্টরা জড়িত। এছাড়াও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের ইন্ধন ছিল বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।