ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে চার স্তম্ভ নির্ধারণ

প্রকাশিত: ১০:৪৭, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে চার স্তম্ভ নির্ধারণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে সরকার অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন পরিকল্পনায় রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে চারটি স্তম্ভ বা পিলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টানেটের সংযোগ দেয়া, ই-গবর্নেন্স ও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পখাত গড়ে তোলা। এই চার মূল স্তম্ভের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশকে দাঁড় করানো হচ্ছে। শুক্রবার পূর্বাণী হোটেলে এটুআইর উদ্যোগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব’ বিষয়ে চলমান কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ফিলিপিন্সের বাংশামারুর প্রাদেশিক ইন্টরিয়র এ্যান্ড লোকাল গবর্নমেন্ট মিনিস্টার নিহীন সিনারিমবো উপস্থিত ছিলেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন এটুআইর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মান্নান, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি টিটন মিএ। কর্মশালার শেষ দিন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। গত দশ বছরে আইসিটিখাতে দশ লাখ জনবলের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামী ৪ বছরে এ খাতে জনবল আরও দশ লাখে উন্নীত হবে। গত দশ বছর আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫ মিলিয়ন। ইন্টারনেটের দাম বেশি হওয়ার কারণে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারত না। বর্তমান সরকার দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এনেছে। সারাদেশে হাইস্পীড ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপন করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা বেড়ে প্রায় সাড়ে ৯ কোটিতে পৌঁছেছে। ৬০ মিলিয়ন মানুষকে প্রযুক্তি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। বিগত ১০ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমরা অনেক এগিয়েছি। আমাদের আরও অনেক শেখার রয়েছে, শিখতে চাই। এ বিষয় আমরা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে দাতা সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীদের দেশসমূহের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ফিলিপিন্সের প্রাদেশিক মন্ত্রী বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের ফিজিক্যাল ট্রানসফর্মেশন ও ইনোভেশনের অভূতপূর্ব অগ্রগতির প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের দ্রুত ডিজিটাইজেশনের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে ফিলিপিন্সের বংশামারুতে কাজে লাগানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ঝুঁকি মোকাবেলায় আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চাই। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সরকার তৃণমূল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন কাজ শুরু করেছে। শহর ও গ্রামের মানুষ তথ্যপ্রযুক্তির সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে তৃণমূলে তথ্যজানালা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারের এ উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়িত হওয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি গ্রাম পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। এখন আর শহরের সঙ্গে গ্রামের কোন ডিজিটাল বৈষম্য নেই। তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষে গ্রামের মানুষ আজ বিশ্বগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, স্মার্ট ফোনসহ ডিজিটাল যন্ত্রে ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করায় গ্রামের মানুষও এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের কোথায় কি ঘটছে তা জানতে পারছেন। ডিজিটাল সুবিধা দিন দিন আরও বাড়বে।
×