ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পটিয়ায় এক রাতেই ২৪জন রোহিঙ্গা গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০২:৪২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পটিয়ায় এক রাতেই ২৪জন রোহিঙ্গা গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া ॥ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর সদরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোহিঙ্গা নাগরিকদের ঘাঁটি হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোর রাতে পটিয়া থানা পুলিশ পৌর সদরের ৮নং ওয়ার্ডের গোবিন্দারখীল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন- নেজাম উদ্দিন (৬৫), শহীদুল ইসলাম (১৯), শফিক আলম (১৯), আবদুল কালাম (৪২), মো. হোসেন (২১), জিয়াউর রহমান (১৯), সাইফুল ইসলাম (১৯), ইউসুফ (২০), নবী হোসেন (৩৭), আমিন (৪২), ইলিয়াছ (৩০), আবদুর রাজ্জাক (২৫), নুরুল আমিন (৪০), আনোয়ার ছাদেক (২১), জিয়াউর রহমান (১৯), আহমদ কবির (৪৫), মজিবুর রহমান (১৯), শরীফ (১৯), বশির আহমদ (৫৫), আবদুল মোনাফ (৬০), আলী আহমদ (১৯), আবদুস ছালাম (৪৮), মো. জুনায়েদ (৪২), মো. কাশেম (৩৯)। তারা সবাই মায়ানমারের আকিয়াব জেলার মন্ডু থানাধীন এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানান। পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন ও উপ-পরিদর্শক এনামুল হকের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব রোহিঙ্গাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছেন, উপজেলার হাইদগাঁও, কেলিশহর, কচুয়াই, পৌর সদরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গারা বসতি গড়ে তুলেছে। রোহিঙ্গারা দিনমজুর হিসেবে দিনে কাজ করলেও সন্ধ্যার পর থেকে তারা চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। রোহিঙ্গাদের অনেকে ভোটার ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে জন্মসনদ নিয়ে চাকুরীও করছেন। পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি চুরিসহ অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। পটিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ করতে থানার প্রতিটি অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাত ১২টার পর কোন দোকানপাট খোলা না রাখতে ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে বলা হয়েছে। ১২টার পর কোন এলাকায় অপরিচিত লোক পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। ২৪জন রোহিঙ্গা গ্রেফতারের ঘটনায় এসআই এনামুল হক বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। এই অভিযান অব্যাহত রাখবেন বলে ওসি জানান। উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট দৈনিক জনকণ্ঠে ‘অঘোষিত রোহিঙ্গা ঘাঁটি পটিয়া’শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছেন।
×