ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গৃহপরিচারিকার নামে চলছে যৌন দাসত্ব

নির্যাতনের মুখে সৌদি আরব ছাড়ছেন নারী শ্রমিকরা

প্রকাশিত: ১১:১৪, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নির্যাতনের মুখে সৌদি আরব ছাড়ছেন নারী শ্রমিকরা

আজাদ সুলায়মান ॥ দীর্ঘ ৭ ঘণ্টার বিমান ভ্রমণের পর রিয়াদ থেকে সরাসরি সোনিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় কফিলের বাসায়। রাতে তাকে থাকতে দেয়া হয় ওই বাসার কিচেনে। খাওয়া বলতে একটা খবুজ (বড় রুটি) আর সামান্য সবজি। পরদিন নাস্তায়ও তাই। পরদিন সকালে তাকে কাজ বুঝিয়ে দেয়া হয়। তাতেই সোনিয়া আঁতকে ওঠে। দিবারাত্রি গৃহপরিচারিকার কাজ করতে হবে। সেবা করতে হবে কফিলের। তারপরের কাহিনী সোনিয়া আর মুখ দিয়ে বলতে পারেনি। শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের চরম সীমা লঙ্ঘন করায় তিনদিনের মাথায় দেশে ফেরার জন্য কান্নাকাটি শুরু করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে বন্দী করা হয় একটা বাসা থেকে অনতিদূরে অন্য একটা বদ্ধ ঘরে। সেখানে তাকে খাওয়া দিত চব্বিশ ঘণ্টায় একটা খবুজ, রুটি সামান্য সবজি। এক বোতল পানি। এটা তার কাছে আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এভাবে মাসখানেক থাকার পর তার জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। লুকিয়ে ঢাকায় ফোন করে মাকেÑ যেভাবেই হোক ফিরিয়ে আনার কাকুতি-মিনতি জানায়। শেষ পর্যন্ত এ প্রতিবেদকের সহায়তায় সোনিয়া দেশে ফিরে। এই ছিল তার চার মাসের সৌদি প্রবাসী জীবন। জীবনের স্বর্বস্ব খুইয়ে শূন্য হাতে দেশে ফিরে এখনও স্বাভাবিক হতে পারছে না। সৌদিয়ানরা এত খারাপ তা এখনও তার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। সোনিয়ার ভাগ্য ভাল সে দেশে ফিরতে পেরেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার মতো আরও অন্তত ৯ জন এখনও ওই ঘরে আটকা পড়েছে। তারাও দেশে ফেরার জন্য প্রতিদিন ফোনে কান্নাকাটি ও আহাজারি করছেন। কেউ তাদের দায়িত্ব নিচ্ছে না। যেই এজেন্সি তাদেরকে নারী শ্রমিক হিসেবে সৌদি পাঠিয়েছে তারা এখন তাদের দায় নিচ্ছে না। উল্টো আরও টাকা দাবি করছে দেশে ফেরার খরচ হিসেবে। গাজিপুরের সোনিয়া, তাহমিনা, নওগাঁর সাজেদা, ভালুকার আমেনা, তেজগাঁওয়ের হাসি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বপ্না ও কিশোরগঞ্জের নাসিমা, সুনামগঞ্জের স্বপ্না মানবপাচারের শিকার হয়েছেন। দালালরা তাদেরকে রঙিন জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে সৌদি আরব পাঠায়। সেখানে যাওয়ার পর তারা বুঝতে পারে জীবনে কত বড় সর্বনাশার শিকার হয়েছেন তারা। সৌদি কফিলের যৌন দাসত্বের কবল থেকে আত্মরক্ষার্থে তাদের মধ্যে তিনজন আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। অথচ তারা সবাই সচ্ছলতার জন্য গৃহকর্মী হিসেবে সৌদিতে যান। সেখানে পৌঁছার পরই তারা অর্জন করেছেন তিক্ত অভিজ্ঞতা। মানসিক, শারীরিক ও যৌন নির্যাতন; কোন কিছুই বাদ যায়নি। এ ধরনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এখন সবাই দেশে ফেরত আসতে বাধ্য হচ্ছেন। যারা ফিরেছেন তাদের নির্যাতনের কথা শুনলে গা শিউরে ওঠে। তাদের নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন ৯৮ জন। নির্যাতনের মুখে পঙ্গুত্ব বরণ করে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩০ জন। দেশে লাশ এসেছে অধিকাংশেরই। এখনও লাশ পড়ে আছে কজনের। টাকার অভাবে লাশ আনতে পারছেন না অনেকে। যারা দেশে ফিরেছেন তাদের কড়া অভিযোগ, সৌদিতে নারী শ্রমিক পাঠানো হয় শুধুই সেক্স ট্রেড করার জন্য। এ পর্যন্ত যাদেরই পাঠানো হয়েছে তাদের অর্ধেকের বেশি এই সেক্স্র ট্রেডের শিকার। যারা জীবনের তিক্ত ও লোমহর্ষক অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরেছেন তাদের বেশিরভাগেরই মুখে কুলুপ। সামাজিক-পারিবারিক অবস্থান ও মান-ইজ্জতের ভয়ে তারা মুখে কুলুপ আঁটার কৌশল গ্রহণ করলেও সুযোগ পেলে বিশ্বস্তজনের কাছে প্রকাশ করে সৌদিতে নারী শ্রমিকদের হালহকিকত সম্পর্কে। স্বপ্নার ভাষ্যমতে, নির্যাতনের সব কথা বলার মতো নয়। কাউকে মারতে মারতে ছাদের ওপর থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে। আবার কারও গায়ে গরম পানিও ঢেলে দেয়া হয়েছে। কাউকে আবার প্রতিদিন একবেলা করে খাবার দেয়া হতো। প্রতিবাদ করলেই চলত মারধর। এমন অমানুষিক নির্যাতনের বর্ণনা অনেক নারীই দিয়েছেন। অনেকে নির্যাতন সইতে না পেরে পালিয়ে আসতে বা আত্মহত্যার পথও বেছে নেন। এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সব কটা জনশক্তি রফতানি এজেন্সি। বন্দীশালায় এখনও তাহমিনা ॥ এখনও রিয়াদে আব্দুল্লাহর বাসায় আটকে রাখা হয়েছে গাজিপুর সদরের জামতলার বাসিন্দা আকবরের ষোড়শী কন্যা তাহমিনাকে। আকবরের অভিযোগ, গত ২০ রমজান এলাকার দালাল মনোয়ারা ও কাজলের প্রলোভনে পড়ে বনানীর সোনিয়া ইন্টারন্যাশনালের অফিস থেকে তাহমিনাকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। বনানীর ওই অফিসে মহিলা দালালের নামও মোছাঃ তাহমিনা (৩৫)। দালাল কাজল আর আদম অফিসের তাহমিনা উভয়েই অঙ্গীকার করেছিল- মাসিক বিশ হাজার টাকা বেতনের চাকরি হবে। অফিসের ক্লিনিং কাজ। খাওয়া-থাকা ফ্রি। কাজ ভাল না লাগলে, যে কোন মুহূর্তে দেশে চলে আসার সুযোগ পাবে। বিশেষ করে তাহমিনার মা আমেনাও মক্কায় থাকেন। কিছুদিন রিয়াদে কাজ করার পর মক্কায় মায়ের কাছে পাঠানোর অঙ্গীকারও করেছিল দালালচক্র। রিয়াদে চারজনের ছোট্ট একটা বাসায় গৃহপরিচারিকার চাকরি করবে। আরামে থাকবে। কোন ধরনের নির্যাতন ও খারাপ কিছু করবে না। দালালচক্রের এমন সুযোগ-সুবিধার কথায় বিশ্বাস রেখেই তাহমিনাকে সৌদি পাঠিনোর বিষয়ে রাজি হই। তারপর কি ঘটে জানতে চাইলে আকবর বলেন- রিয়াদে আব্দুল্লাহ নামের এক কফিলের বাসায় পাঠানোর পর থেকেই তার ওপর নেমে আসে বিপদ। ১২ সদস্যের একটি পরিবারের কাজে তাকে সারাক্ষণ খাটতে হয়। কোন ধরনের বিশ্রামের সুযোগ নেই। রাত-দিন কাজ আর কাজ। খাওয়া-দাওয়া নেই। সামান্য একটা রুটি খেয়েই তাকে কাটাতে হয়। প্রতিবাদ করলেই মারধর ও জোর জবরদস্তি। এমন অমানুষিক নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য তাহমিনা ওই বাসা থেকে পালিয়ে যায়। এতে রাস্তায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তখন তাকে আবারও ওই বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। পুলিশ একটা ফোন নম্বর দিয়ে তাহমিনাকে পরামর্শ দেয়, ভবিষ্যতে মারধর করা হলে পুলিশকে খবর দিতে। তাহমিনাকে ফিরিয়ে নেয়ার পর শুরু হয় অত্যাচারের নতুন মাত্রা। এবার তার খাবারও বন্ধ করে দেয়া হয়। বাধ্য হয়েই মেয়েটি আমার কাছে ফোন করে। এক মাস যাবার পর বেতন চাইলে তাকে বলা হয়- এক মাসের বেতন পাঠানো হয়েছে ঢাকায় সনিয়া ইন্টারন্যাশনাল অফিসের বড় দালাল তাহমিনা ও কাজলের কাছে। আকবর জানান, এখনও তাহমিনাকে ওই আব্দুল্লাহর বাসাতেই আটক রাখা হয়েছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দালাল তাহমিনা ও কাজলের কাছে কাকুতি-মিনতি জানালে বার বারই মিথ্যা আশ্বাস দেয় দুদিন পরই চলে আসবে। গত কদিন ধরে তারা বলছে, রিয়াদে যাবার পর তাহমিনার পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে। এখন আউট পাস তৈরি করতে হবে। এজন্য সময় লাগবে। তিনি বলেন, রিয়াদে আব্দুল্লাহর পরিত্যক্ত বাসায় গিয়ে তাহমিনা দেখতে পায় সেখানে আরও দশ বাংলাদেশী নারী একই কায়দায় বন্দী জীবন যাপন করছে। সেখানে তাদেরকে অমানবিক জীবন যাপন করতে হয়। তাদেরকে চব্বিশ ঘণ্টায় একবার একটা রুটি খেতে দেয়া হয়। সারাদিনে একগ্লাস পানি দেয়া হয়। এমন দুর্দশায় পড়ে ডায়াবেটিস আক্রান্ত এক নারী চরম অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুর্ভাগ্যের বিষয় সবাই দেশে চলে এলেও ওই বাসায় আমার মেয়ে তাহমিনা এখনও বন্দী। তাকে আনার জন্য সনিয়া ইন্টারন্যাশনালেরও কোন মাথাব্যথা নেই। কোন দায়ও নিচ্ছে না দালাল কাজল, তাহমিনা ও সাত্তার। আমার দুঃখ, সবাই ফিরে এলেও তাহমিনা এখনও সেখানে শুধু চোখের জলে বুক ভাসাচ্ছে। এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সোনিয়া ইন্টারন্যাশনালের মালিক সাত্তার বলেন, তাহমিনা সৌদি গিয়ে ওই বাসায় কদিন কাজ করেই পালিয়ে যায়। পুলিশে ধরে তাকে আবারও ওই বাসায় পাঠায়। এজন্যই তাকে পাঠাতে পারছে না। সে কাজ করে না বলেই বেতন হয় না। তারপরও তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সোনিয়ার কথা ॥ গাজিপুরের সোনিয়া নামের অপর এক তরুণী বলেন- যে প্রলোভন দেখিয়ে সৌদিতে পাঠানো হয়, তার কিছু মেলেনি। সব উল্টো। আমাকে নেয়া হয়েছিল ক্লিনিং কাজের কথা বলে । সেখানে যাওয়ার পর বলা হয় অন্য কাজ করতে। ভিনদেশী পুরুষের সেবা করার কথা শুনেই মাথায় হাত। না করেও উপায় নেই। আবার কাজ ছিল ৮ ঘণ্টার। সেখানে তাদের টানা ২০ ঘণ্টা কাজ করানো হতো। কাজ না পারলে মারধর। সৌদিদের মার বাংলাদেশের মতো নয়। তলপেটে লাথি, চুল টেনে ধরে রাখা, গরম ইস্ত্রি দিয়ে ঘষা দেয়া, গরম রুমে আটকে রাখা, গরম পানি ঢেলে দেয়া, গলাটিপে ধরা, ব্লেড দিয়ে শরীর কাটার মতো পৈশাচিকতা চালায় তারা। তার ওপর আরও কত কি। যা মুখে বলার নয়। বুঝে নেন। মার্র্জিয়া নামের এক তরুণীর ভাষ্য, বেশিরভাগই গৃহকর্তা ও তাদের সন্তানদের মাধ্যমে যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তবে এসব কথা তারা কাউকে বলতেও চান না। বাসার গৃহকর্তার পাশাপাশি তাদের সন্তান ও বৌরাও মারধর করত। আবার অভিযোগ করলে পুলিশ সেটি শুনত না। উল্টো তাদের জেলে যেতে হতো। বাসার গৃহকর্তা তাদের পাসপোর্ট আটকিয়ে রাখতেন। বেতন চাইতে গেলে অধিকাংশ নারীই মারধরের শিকার হয়েছেন কিন্তু বেতন পাননি। কফিল উত্ত্যক্ত করত ॥ লালমনিরহাটের আদিতমারীর সেলিনা বেগম (২২) (ছদ্মনাম)। স্বামী গার্মেন্টে চাকরি করেন। বাড়তি আয়ের জন্য এক মহিলার প্রলোভনে চলতি বছর ১১ জুন পাড়ি জমান সৌদিতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দুই দিন পরই বুঝতে পারেন সবটাই উল্টো। রাতে শোয়ার পরই দরজায় কফিল ও তার ছেলেরা এসে ধাক্কা মারতে থাকে। দুই দিন, দুই রাত দরজা বন্ধ করেই ছিলেন। পরে বাধ্য হয়ে সেই বাসা থেকে পালিয়ে আসেন সেলিনা। সেলিনার মা শেফালি বেগম বলেন, ওই বাসার মালিক আমার মেয়েকে মারধর করত। ওই আমাকে ফোন করে বলেছিল। ওই দেশে যাওয়ার পর দুই দিন কথা হইছে, আর কথা হয় নাই। তিন মাস যাওয়ার পরও কোন টাকাও পাঠায় নাই। আমরা তাকে আর বিদেশ পাঠাব না। চাঁদপুর সদরের রমিসা বেগম জানান, গৃহকর্তা তাকে সারাদিন কাজ করাত। শুধু তাই নয়, অন্য বাসাতেও কাজ করতে বাধ্য করতেন। তিনি অন্য বাসায় কাজ করতে না চাইলে তাকে মারধর করা হতো। খাবার দেয়া হতো না। বাধ্য হয়ে তিনিও ওই বাসা থেকে পালিয়ে আসেন। পরবর্তী সময়ে তার ঠাঁই হয়েছিল বাংলাদেশ দূতাবাসের সেফহোমে। তিনি জানান, তার মতোই এখনও সেফহোমে আরও কয়েক শ’ নারী দেশে ফেরত আসার অপেক্ষায় রয়েছে। এসব বিষয়ে ব্র্যাক অভিবাসন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, এভাবে প্রতিনিয়ত নারীরা সৌদিতে নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরছেন। আমরা তাদের সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ওকাপ) চেয়ারম্যান শাকিরল ইসলাম বলেন, প্রথমে এটি হচ্ছে একটি উদাসীনতা। প্রথমদিকে এটিকে তো নজরেই নেয়া হয়নি। অভিবাসন নিয়ে কাজ করা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের তথ্য বলছে, সৌদি থেকে প্রতিমাসেই কমবেশি নারীরা নির্যাতিত হয়ে দেশে ফিরছেন। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত ৯ মাসে দেশটি থেকে প্রায় ৯শ’র বেশি নারী দেশে ফিরেছেন। এখনও অনেকে দেশে ফেরার প্রহর গুনছেন। গত চার বছরে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গিয়ে ১০ হাজার নারী গৃহকর্মী দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে অনেকে তাদের কষ্টের কথা কাউকে বলতে না পেরে আত্মহত্যাও করেছেন। সেই সংখ্যা অন্য দেশের তুলনায় সৌদি আরবেই বেশি কী বলছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ॥ জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহান বলেন, আমরা অভিযোগ পাই। ব্যবস্থাও নেই। যেসব অভিযোগ পাই না, মিডিয়ায় আসে সেগুলোও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হয়। তারপরও আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই,কারও কোন অভিযোগ থাকলে তারা আমাদের কাছে এলে আমরা সেই অভিযোগ নেব। তবে সৌদিতে গৃহকর্মীদের ওপর নির্যাতন বন্ধে তাদের বার বার চিঠি দেয়া হচ্ছে। মন্ত্রী দেশটিতে যাবেন। তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আরও কথা বলবেন।
×