ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমছে

প্রকাশিত: ১১:১৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নতুন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নতুন ডেঙ্গু আক্রান্তের হার কমছে। তবে গত দুই মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দৈনিক দুই হাজারের নিচে নামছে না। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, এমনিতেই সরকারী পরিসংখ্যানে দেশের পূর্ণাঙ্গ ডেঙ্গু আক্রান্তের চিত্র পাওয়া যায় না। রাজধানীর চার শতাধিক সরকারী-বেসরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৪১ প্রতিষ্ঠান থেকে ডেঙ্গু তথ্য প্রদান করা হয়। ঢাকার বাইরেও একই চিত্র দেখা গেছে। এমন অবস্থায় দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনও আশঙ্কামুক্ত নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৩৬ । এদের মধ্যে ঢাকায় নতুন ভর্তি ১৭৫ এবং ঢাকার বাইরে ৩৬১। সারাদেশে বর্তমানে ভর্তি ডেঙ্গু ও সন্দেহজনক ডেঙ্গু রোগীর সর্বমোট সংখ্যা ২৩৬০। ঢাকা মহানগরীতে বর্তমানে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯২৭ এবং ঢাকার বাইরে ১৪৩৩ জন। এ বছর জানুয়ারি থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট ভর্তি ও ছাড়প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ৮২৯৯০ ও ৮০৪২৭। সারাদেশে এ পর্যন্ত মোট রোগীর ৯৭ শতাংশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গুসন্দেহে ২০৩টি মৃত্যুর তথ্য প্রেরিত হয়েছে। তাদের মধ্যে আইইডিসিআর ১১৬টি মৃত্যু পর্যালোচনা সমাপ্ত করে ৬৮ টি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে, জানিয়েছে আইইডিসিআর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম আরও জানায়, বর্তমানে ঢাকা শহর ছাড়া ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় ৩০৮, চট্টগ্রামের ১১ জেলায় ১৬২, খুলনা বিভাগে ৫৫৯, রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ৩১,রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় ১০১, বরিশালের ৬ জেলায় ১৯২, সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় ১৯, ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ৪৭ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, ঢাকা শহরের হাসপাতালগুলোর মধ্যে বর্তামানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০৬, মিটফোর্ড হাসপাতালে ১৫২, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ২৪, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১০১, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৭, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ১৩, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৯২, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৩৮, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৫২ এবং কুয়েট বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ৩ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাড়ি বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েও এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করা সম্ভব হচ্ছে না। উদ্যোক্তার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অসচেতনতা ও উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন সাতক্ষীরার সুশীল সমাজ। সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহিন জানান, হাসপাতালে যারা ভর্তি আছেন তারা এখন আশঙ্কামুক্ত ।
×