ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জামালপুরে ছাত্র বলাৎকারের ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষক জেলহাজতে

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

জামালপুরে ছাত্র বলাৎকারের ঘটনায়  মাদরাসা শিক্ষক জেলহাজতে

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর ॥ জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নে একটি হাফিজিয়া মাদরাসার ১২ বছর বয়সের এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে আটক একই মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো: আলা উদ্দিনকে (২৭) রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে সদর থানা পুলিশ। স্থানীয় ডেঙ্গারগড় গ্রামের মোজাদ্দেদিয়া আশরাফুল উলুম হাফিজিয়া নূরানি মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো: আলা উদ্দিন শুক্রবার সকালে তার কক্ষে ওই ছাত্রকে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন। শনিবার রাতে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ওই শিক্ষককে আটক করে সদর থানায় সোপর্দ করে। ওই ছাত্রের বাবার অভিযোগ, তাদের বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের ডেঙ্গারগড় গ্রামে। তার ১২ বছর বয়সের ছেলেটি স্থানীয় মোজাদ্দেদিয়া আশরাফুল উলুম হাফিজিয়া নূরানি মাদরাসার কোরআনে হাফেজ পড়াশোনা করে প্রায় পাঁচ বছর ধরে। জেলার ইসলামপুর উপজেলার পঁচাবহলা গ্রামের মধ্যপাড়া গ্রামের মো. তারা ম-লের ছেলে হাফেজ মো: আলা উদ্দিন চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই মাদরাসায় নতুন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই ছাত্র বাড়ি থেকে টিফিনক্যারিয়ারে করে শিক্ষক আলা উদ্দিনের জন্য সকালের খাবার নিয়ে মাদরাসায় যায়। শিক্ষক আলা উদ্দিন মাদরাসাটির তিন নম্বর কক্ষে তার খাবার খাওয়ার পর ওই ছাত্রকে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন। শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে ওই শিক্ষক বলাৎকারের ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ প্রতিবেশীরা শনিবার রাতে শিক্ষক আলা উদ্দিনকে ওই মাদরাসায় আটক করার পর সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শিক্ষক আলা উদ্দিনকে আসামি করে শনিবার রাতেই জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো: জহিরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, রবিবার সকালে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। একই দিন দুপুরে আটক ওই শিক্ষক আলা উদ্দিনকে জামালপুর সদর আমলি আদালতের বিচারকের আদেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
×