ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অবৈধ ইয়ামাহা মোটরসাইকেল আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০১:৩০, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অবৈধ ইয়ামাহা মোটরসাইকেল আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল আমদানি ও বাজারজাত করনের জন্য এসিআই লিমিটেডকে বৈধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষনা করেছে আদালত। পুশ ইন্টারন্যাশনাল, নিউ সোনারগাঁ মোটরস, আরএন এন্টারপ্রাইজ, পোলারিস টেক লিমিটেড, পাওয়ারপ্যাক ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইয়ামাহা মোটরসাইকেল আমদানি ও বিপননের ক্ষেত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আদালতের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহন করবে। জানা গেছে, অবৈধভাবে দেশে আসা মোটরসাইকেল নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আবার ক্রেতারা কেনার পর সার্ভিস নেবার সময় সঠিক সময়ে সঠিক সার্ভিসটি পাচ্ছে না। এমনকি প্রচলিত মডেল না হবার কারনে সঠিক যন্ত্রাংশও পাওয়া যায় না। বৈধ ডিলাররা তাদের তাদের সার্ভিস পয়েন্টে আসলে গাড়ির চেসিস ও ইঞ্জিন নাম্বার মিলিয়ে দেখে তারপর সার্ভিস দিয়ে থাকেন। বৈধ আমদানিকারকরা সঠিক মূল্য প্রদর্শন করে দেড়শ শতাংশের বেশি শুল্ক প্রদান করেন। কিন্তু অবৈধ আমদানিকারকরা কম মূল্য দেখিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভোক্তাদের প্রতারিত করে। সম্প্রতি সময়ে এসিআই লিমিটেডের প্রচলিত মডেলের বাইরে এফজেডএস এফআই ভি ২.০ এবং ফেজার এফআই ভি ২.০ মডেলের মোটরসাইকেল দেশের বাজারে বিপনন করা হচ্ছে। এসব মডেলের মোটরসাইকেলের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমদানি করছে, যারা বৈধ আমদানিকারক নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসিআই লিমিটেড আদালতে আবেদন করেন। প্রতিষ্ঠানটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মেসার্স এসিআই মোটরস লিমিটেড কর্তৃক ইয়ামাহা মটর প্রাইভেট কোম্পানির তৈরিকৃত ইয়ামাহ ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলে বৈধ আমদানিকারক এসিআই মটর লিমিটেড ব্যতিরেখে সকল অবৈধ আমদানিকারক কর্তৃক আমদানিকৃত ইয়ামাহা মটর সাইকেল বাজারজাত, রেজিষ্ট্রেশন, মেকার্স কোড ও টাইপ অনুমোদন বাতিল ঘোষনা করে আদালত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আদালতের এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএর করনীয় বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) মো. নূরুল ইসলাম সাক্ষরিত একটি চিঠিতে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিআরটিএর সচিব মুহাম্মদ শওকত আলী বলেন, বিজ্ঞ আদালত এসিআই মোটর লিমিটেডকে দেশের একমাত্র বৈধ আমদানিকারক ও বিপননকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে বিআরটিএ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে। রেজিষ্ট্রেশনের বিষয়ে কার্যকর পদেক্ষপ গ্রহন করবে। এ বিষয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রান্সপোর্ট) একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, অবৈধ মোটরসাইকেল আমদানির বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলে সে বিষয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ এ্যাকশন গ্রহন করবে। কেননা অবৈধ আমদানিকৃত মোটরসাইকেল দিয়ে অপরাধমূলক কাজে বেশি ব্যবহার করা হয়। আর পরবর্তীতে অপরাধমূলক কার্যক্রম হলে চিহ্নিত করতে অসুবিধায় পড়তে হয়। এজন্য পুলিশ বাহিনি এ বিষয়ে সবোর্চ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। জানা গেছে, আমদানিকৃত মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রি করতে হলে বিল আব এন্ট্রি এ্যাসেসমেন্টে নোটিশ, গেট পাশ, সিকেডি অনুমোদন, কমার্সিয়াল অনুমোদন ও এলসি কপি সংযুক্ত করতে হয়। ব্যক্তি মালিকানাধিন হলে এর পাশাপাশি ভোটার আইডি, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ঠিকানা প্রমানের জন্য বিদ্যুৎ অথবা গ্যাস বিলের কপি। আমধানিকৃত মোটরসাইকেলে রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে কাষ্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে চেসিস নাম্বারসহ অনান্য বিষয়গুলো চেক করা হয়। এতে অনেক সময় অবৈধ আমদানিকারকরা ধরা পড়েন। এর বাইরেও আসলেও দেশে তা রাজস্ব বঞ্চিত ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
×