ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে গবেষণার বিকল্প নেই ॥ জ্বালানি উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ০২:৩৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে গবেষণার বিকল্প নেই ॥  জ্বালানি উপদেষ্টা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প অনুযায়ী বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ ও উন্নত দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে সৃজনশীল উদ্ভাবনে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যত পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে চাইলে গবেষণার কোন বিকল্প নেই। এ জন্য তরুণদের উদ্ভাবনী কাজে মনোযোগী হতে হবে। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে তিন দিনব্যপী ‘১৮তম নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্মেলন ও গ্রিন এক্সপো-২০১৮’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ সৌরশক্তি সমিতির যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-পাওয়ার ডিভিশনের এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার রিসার্স কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন শাহীন আহমেদ চৌধুরী, সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউএবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির (¯্রডো) চেয়ারপার্সন হেলাল উদ্দিন, স্রেডা’র সদস্য সিদ্দিক জোবাইর, শক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল হক প্রমুখ। ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে সরকার বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এখন একটি বাড়ি তৈরি করার সময় অনেকেই প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের বিষয়গুলো নিয়ে সঠিকভাবে চিন্তা করে না। এসব বিষয়ে আমাদের আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তরুণদের উদ্ভাবনী কাজে মনোযোগী হবার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজ থেকে ১০-২০ বছর পর পৃথিবীতে কী ধরনের পরিবর্তন হতে যাচ্ছে, সেজন্য কী করতে হবে- এসব বিষয়ে দেশের তরুণ প্রজন্মকে উদ্ভাবনী কাজ করতে হবে। উদ্ভাবনকে মূল্য দিতে হবে, লালন করতে হবে। উদ্ভাবনী কাজে তরুণদের আগ্রহী করতে উন্নত প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণার জন্য সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করবে বলে জানান তিনি সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এই ধরনের সম্মেলনে তথ্যের যে আদান প্রদান হয় তাতে নতুন ধারনা পাওয়া যায়। সেই ধারনা থেকে আমরা বিবেচনা করতে পারি কোনটা টেকসই, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব। গৃহস্থালীর রান্নার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের চুলার ব্যবহারে গ্রাম ও শহরভিত্তিক বিবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে উপাচার্য বলেন, রান্নার জন্য তাই পরিবেশ দূষণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা এখন সময়ের দাবী। অনুষ্ঠানে উদ্ভাবনী বিষয় নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বিষয়ে উপস্থাপনাকারীদের উদ্দেশ্যে শাহীন আহমেদ চৌধুরী বলেন, নতুন উদ্ভাবনী নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা তাদের কাজের ফলাফলকে বিপননের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে পৌছানোর কাজ করছেন না। এটি খুব দরকার। এসব বিষয়ে গবেষকদের তার প্রতিষ্ঠান থেকে তহবিল দেয়ার প্রতিশ্রতি প্রদান করেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাৎসরিক সংকলন এনার্জিন’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ৩দিনব্যাপী সম্মেলনে রয়েছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক টেকনিক্যাল সেশন, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, এনার্জি অলিম্পিয়াড ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক উদ্ভাবনী পণ্যের প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছে ২৫টি প্রতিষ্ঠান। শক্তি ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ‘সোলার ইলেকট্রিক ইনডাকশন কুকার’সহ অন্যান্য উদ্ভাবনী সামগ্রীও প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
×