ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পোশাক শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি বোর্ড গঠন

প্রকাশিত: ০০:১৬, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮

পোশাক শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি বোর্ড গঠন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম নতুন মজুরি (ওয়েজ) বোর্ড গঠন করেছে সরকার। স্থায়ী চার সদস্যের সঙ্গে পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ও শ্রমিকদের একজন প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত এ মজুরি বোর্ডের ঘোষণা করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। রবিবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ছয় মাসের মধ্যে এ বোর্ড পোশাক শ্রমিকদের বেতন কাঠামো যাচাই-বাছাই করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপর সরকার তাদের নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করবে।’ বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও জাতীয় শ্রমিক লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার ভূঁইয়াকে এ বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। চুন্নু বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এ খাতের জন্য বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন বিদ্যমান বেতন-কাঠামো পর্যালোচনার জন্য মজুরি বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। শ্রম আইন অনুযায়ী, ২০১৩ সালে সর্বশেষ এ খাতের জন্য মজুরি বোর্ড গঠন করে মজুরি ঘোষণা করা হয়। নিয়মানুযায়ী সরকার ইচ্ছা করলে তিন বছরের মধ্যে রিভিউ করতে পারে এবং পাঁচ বছর পর পর্যালোচনার সুযোগ থাকে। বিজিএমইএ এক মাস আগে মজুরি বোর্ড গঠনের জন্য চিঠি দিয়েছিল।’ স্থায়ী মজুরি বোর্ডে একজন জেলা জজ চেয়ারম্যান, মালিকদের পক্ষ থেকে একজন ও শ্রমিকদের পক্ষ থেকে একজন করে প্রতিনিধি এবং নিরপেক্ষ হিসেবে একজন সদস্য থাকেন। যখন যে সেক্টরের জন্য মজুরি বোর্ড গঠন করা হয় সেখান থেকে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ থেকে একজন করে প্রতিনিধি নেয়া হয় বলে জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী। ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব শ্রমিকদের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। আমরা আশা করি পাঁচ বছর শেষ হওয়ার আগেই পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য মজুরি বোর্ডের অধীনে নতুন একটি মজুর কাঠামো গঠন করতে পারবো।’ এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি একে আজাদ বলেন, ‘আমরা খুব ক্রিটিক্যাল সময় পার করছি। আমাদের গ্রোথ হওয়ার কথা ছিল ১৪ শতাংশ, সেখানে হয়েছে মাত্র ৬ শতাংশ। অন্যান্য দেশের গ্রোথ আমাদের থেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কারণ আমাদের বেসিক ম্যাটেরিয়াল নাই, গভীর সমুদ্রবন্দর নাই। আমি অন্য দেশের সঙ্গে পারছি না। (শ্রম) সস্তা ও দ্রুত হতে হবে। আমাদের বন্দরের সক্ষমতা অত্যন্ত দুর্বল। শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিলে পিছিয়ে পড়বো আরও। কিছু কিছু শ্রমিক সংগঠন শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরির চেষ্টা করছে।’ এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব আফরোজা খান, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
×