ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সঙ্কট আরও ঘনীভূত হয়েছে

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সঙ্কট আরও ঘনীভূত হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচন সময়ের সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিদ্যমান সঙ্কট আরও ঘনীভূত করে তুলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি আন্তরিকভাবে নির্বাচন সময়ের সরকার নিয়ে নতুন কিছু ভেবে থাকেন তাহলে তার উচিত হবে সকল স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে সংলাপ করা। বিএনপি মনে করে, একটি আন্তরিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে অর্থবহ সমাধান সম্ভব। শনিবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। অপর এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে দলীয় সরকারের অধীনে। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া জাতির উদ্দেশে ভাষণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে যা বলেছেন তা খুবই অস্পষ্ট, ধোঁয়াশাপূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর। তাঁর ভাষণ জাতিকে হতাশ, বিস্ময়-বিমূঢ় এবং উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এ ভাষণে বিদ্যমান জাতীয় সঙ্কট নিরসনে স্পষ্ট কোন রূপরেখা নেই। বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতি আশা করেছিল শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীত্বের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার এক বছর আগেই তিনি যে ভাষণ দেবেন, সে ভাষণে থাকবে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা, জাতীয় সঙ্কট নিরসনে একটি স্পষ্ট রূপরেখা এবং জনগণের উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তা দূর করার জন্য থাকবে বিভ্রান্তির বেড়াজালমুক্ত কর্ম পদক্ষেপ। তিনি বলেন, পাকিস্তানের স্বৈরসামরিক শাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান তার শাসনের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাঁকজমকভাবে উন্নয়ন দশক পালন করেছিলেন। গণতন্ত্রহীন তথাকথিত উন্নয়ন জনগণ গ্রহণ করেনি। পরিণতিতে তার মতো লৌহমানবকে ক্ষমতা থেকে গণঅভ্যুত্থানের মুখে বিদায় নিতে হয়েছিল। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস পাকিস্তানী আমলের স্বৈরশাসকের মতো ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার সেই একই পথে হাঁটছে বর্তমান সরকার। এ দেশের সচেতন জনগণ সবকিছু জানে ও বোঝে। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ জাতিকে হতাশ ও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এই ভাষণে বিদ্যমান জাতীয় সঙ্কট নিরসনে স্পষ্ট কোন রূপরেখা নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে তিনি যা বলেছেন তা খুবই অস্পষ্ট, ধোঁয়াশাপূর্ণ, এবং বিভ্রান্তিকর। তিনি তাঁর শাসনামলে উন্নয়নের এক চোখ ধাঁধানো বয়ান পেশ করেছেন। বিশেষ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে তাদের দাবির সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানও একমত হতে পারেনি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার নি¤œ আয়ের মানুষদের দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন হ্রাস, প্রকৃত মজুরি কমে যাওয়ার প্রবণতা ও কর্মসংস্থানের অভাব একদিকে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার মানের উপর প্রতিকূল প্রভাব সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে দেশের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির সম্মুখীন করছে। ফখরুল বলেন, সবচাইতে উদ্বেগজনক বিষয় হলো দেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আয়-বৈষম্য প্রকট হয়ে উঠেছে। প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি আয়-বৈষম্য হ্রাস না পেলে সাধারণ জনগণ উন্নয়নের সুফল পায় না, দারিদ্র্য হ্রাস পায় না ও বেকারত্ব পরিস্থিতির উন্নতি হয় না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাদের উন্নয়নের বয়ানকে দৃশ্যমান করছে। কিন্তু মেগা প্রকল্পগুলো নিয়ে গণমাধ্যম ইতোমধ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করছে। এসব প্রকল্পের ব্যয় ভারত, চীন ও ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি। সঠিক সময়ে প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত না হওয়ায় একাধিকবার প্রকল্প-ব্যয় সংশোধন করতে হচ্ছে । ফলে এসব প্রকল্প থেকে কাক্সিক্ষত কল্যাণ সুদূরপরাহত হয়ে পড়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে ব্যাংকিং ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। একটি জাতীয় দৈনিকের হিসেব অনুযায়ী মার্চ ২০১৭ শেষে দেশের ব্যাংক খাতের খেলাপী ঋণ বেড়ে হয়েছে ৭৩ হাজার ৪ শত ৯ কোটি টাকা, যা ব্যাংকের মোট ঋণের দশ দশমিক ৫৩ ভাগ। ২০১৬ সালের মার্চে খেলাপী ঋণ ছিল ৫৯ হাজার ৪’শ ১১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে খেলাপী ঋণ বেড়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে আরও ৪৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে এসব মন্দ ঋণ আর্থিক প্রতিবেদন থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। এ তথ্য খেলাপীর হিসাব নিলে দেশে খেলাপী ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। হিসাবটি আঁতকে ওঠার মতো। ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি টিম সোনালী ব্যাংক থেকে হলমার্ক গ্রুপ অবৈধভাবে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ঋণ নেয়ার জালিয়াতি শনাক্ত করে। এরপর একে একে বিসমিল্লাহ গ্রুপ, ডেসটিনি গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি, বেসিক ব্যাংকসহ দেশের অনেক রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারী ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতি এবং জনগণের অর্থ লোপাটের লোমহর্ষক খবর দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতে থাকে। ফখরুল বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কয়েকগুণ বেড়েছে। তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোন পদক্ষেপ নেই। দফায় দফায় বিদ্যুত ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে কৃষি, শিল্পসহ অর্থনীতির সকল খাতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, এ সরকারের দাবিকৃত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি যাচ্ছে কোথায়? সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি-এর প্রতিবেদনটি ব্যাপক আলোচনায় এসেছে। এই প্রতিবেদনে বলে হয়েছে, কেবল ২০১৩ সালে দেশ থেকে ৭৮ হাজার কোটি টাকা এবং ২০১৪ সালেই দেশ থেকে ৭২ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। ২০১৪ সালের পাচারের এই পরিমাণটি জিডিপির প্রবৃদ্ধির চার ভাগের মতো। জিডিপি প্রবৃদ্ধির সাত ভাগের মধ্যে যদি চার ভাগ বাহিরে পাচার হয়ে যায় তাহলে দেশের অর্থনৈতিক লেনদেনে কিভাবে প্রবৃদ্ধির প্রভাব লক্ষণীয় হবে? ফখরুল বলেন, এদেশের অনেক বিনিয়োগকারী দ্বৈত-নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে? কেন তারা তাদের অর্থ দেশে বিনিয়োগ করার চাইতে বিদেশে রাখাটাই পছন্দ করছে? এই পাচার হওয়া টাকার একটা বড় অংশ হলো অবৈধ উপায়ে অর্জিত কালো টাকা। আর পাচার হওয়ার পেছনে কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো দেশে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দেশের অর্থনীতির প্রতি আস্থার অভাব। এছাড়া দেশের বাইরে একটি নিরাপদ বলয় তৈরি করে রাখা যাতে সুযোগ মতো বেরিয়ে যাওয়া যায়। বিদেশে বাংলাদেশের এতো বিরাট অঙ্কের টাকা চলে যাচ্ছে অথচ সরকার একেবারেই নীরব। তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর গড়ে বিদেশে টাকা পাচার হয় ৮১ হাজার কোটি টাকা। শুধু ২০১৫ সালেই বিদেশে পাচার হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা যা খুবই উদ্বেগজনক। বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আগুন সন্ত্রাসে নিহতদের কথা বলেছেন। ওই সন্ত্রাস আসলে কে করেছে এটা জানার আগ্রহ আমাদেরও। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে জনগণের সামনে হেয় করার জন্য তা ছিল এক সরকারী অপচেষ্টা এবং বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যমে তা প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সরকারী সিদ্ধান্ত ও প্রচেষ্টায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি হয়েছে তার কথা সকলেই অবগত আছেন। গত ১০ বছরে কমপক্ষে ৭৫০ জন গণতন্ত্রকামী কর্মীকে গুম করেছে সরকারী বাহিনী। অধিকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী কেবলমাত্র ২০১৭ সালে সরকারী বাহিনী কর্তৃক গুমের শিকার ৮৬ জন। তাদের মধ্যে ৯ জনের লাশ পাওয়া গেছে। ৪৫ জনকে গুম পরবর্তী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ১৬ জনকে ছেড়ে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত বাকি ১৬ জনের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ। নির্বাচনকালীন সরকারও তো সংবিধানে নেই- মওদুদ : নির্দলীয় সরকার সংবিধান সম্মত নয় বলে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারও তো সংবিধানে নেই। তাহলে প্রধানমন্ত্রী কিভাবে বললেন ভোট হবে সংবিধান অনুসারে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে নির্বাচন নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার প্রয়াস চালিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে দলীয় সরকারের অধীনে। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট’ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মওদুদ বলেন, জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ছিল একতরফা ও আত্মতুষ্টির বহির্প্রকাশ। তার ভাষণে গণতন্ত্রের সঙ্কট ও দেশের সত্যিকারের সঙ্কটেরর চিত্র ছিল না। সেখানে জনগণের দুঃখ-কষ্টের কোন প্রতিফলন নেই। এ ভাষণে কেবল তার সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সংসদের প্রায় সব সদস্যই আওয়ামী লীগের। তারপরও কোরাম সঙ্কট হয়। তাহলে কিভাবে সংসদ চলে, ভাষণে তা বলেননি প্রধানমন্ত্রী। মাসদার হোসেন মামলার রায়ের মাধ্যমে বিচারবিভাগ পৃথকীকরণের মৃত্যু হয়েছে তা বলেননি। দেশে গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই তাও বলেননি। বর্তমান সংসদে অনির্বাচিত সংসদ সদস্য বেশি, কী করে তারা নির্বাচিত হলেন জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তাও বলতে ভুলে গেছেন। মওদুদ বলেন, সরকার যে উন্নয়নমেলা করছে সেটা আসলে দুর্নীতিমেলা। কেননা, সরকার সব বড় বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। আর বড় বড় প্রকল্প মানে বেশি বেশি দুর্নীতি। বড় বড় প্রকল্প মানে বেশি বেশি ঘুষ। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হচ্ছে। মওদুদ বলেন, জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ জনগণের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেনি। কেননা, তার ভাষণে রাষ্ট্রীয় ব্যাংক ফুকলা হয়ে যাওয়া, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার মহাপরিকল্পনা, ছাত্রলীগ-যুবলীগের টেন্ডারবাজি, জায়গা দখল, দোকান দখল, ধর্ষণ, গুম ও খুনের বিষয় ওঠে আসেনি। প্রধানমন্ত্রী যদি তাঁর ভাষণে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা দিতেন, আমরাও বাহবা দিতাম। মওদুদ বলেন, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া এবং সেনা মোতায়েনের বিষয়ে বিএনপির যে দাবি রয়েছে সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে কিছু না পেয়ে আমরা হতাশ হয়েছি। জাতি প্রত্যাশা করেছিল যে, আগামী নির্বাচন কিভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা যায়। কিন্তু সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কিছুই বলেননি। বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা নাকচ করে আসা শেখ হাসিনা যে অবস্থান বদলাননি, তার ভাষণে তা স্পষ্ট হয়েছে। এই ভাষণে দেশের সত্যিকারের চিত্র তিনি তুলে ধরেননি। তার এই ভাষণ সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও দুঃখ-কষ্ট নিরসন করতে পারেনি। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
×